রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ। দুই দেশকে ‘যথাসম্ভব সংযত’ হওয়ার বার্তা দিলেন মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
সোমবার রাতে লাদাখে চিনা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জন সদস্য নিহত হন। চিন এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে হতাহত হওয়ার খবর দেয়নি। গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র এরি কানেকো বলেন, ‘‘ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত ও মৃত্যুর যে খবর মিলছে, তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন আমরা। দু’পক্ষকেই যতটা সম্ভব সংযত আচরণ করার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। দুই দেশই যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, আমরা সেটাকে সদর্থক ভাবেই দেখছি।’’
পরমাণু শক্তিধর এই দুই পড়শি দেশের মধ্যে এমন সংঘর্ষ প্রায় ৪৫ বছর পরে। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্রও জানান, বিষয়টির উপরে গভীরে নজর রাখছে আমেরিকা। শান্তিপূর্ণ সমাধানকেই সমর্থন জানাবে তারা। দু’সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: চিনা পণ্য বয়কট বর্জনের ডাক সামলানো যাবে তো?
আরও পড়ুন: লাদাখে চিনা হামলার কথা বাকি বাহিনী প্রায় ছ’ঘণ্টা পরে জানতে পারে!
সংযত আচরণের বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইইউয়ের বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র ভেরজিনি বাট্টু-হেনরিকসন বলেন, ‘‘ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সম্প্রতি যে সব উদ্বেগজনক খবর মিলছে, তাতে দুই পক্ষকেই সংযত আচরণ ও সেনা জমায়েত কমানোর আর্জি জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হলে একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস তৈরি ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে হবে।’’