দাউদাউ করে জ্বলছে বহুতল। অনেক ক্ষণ ধরেই জানলা দিয়ে উঁকি মারছিল সে। তার পরই সটান লাফ। লাফ দিয়ে ঘাসে পড়ে ফুটবলের মতো বাউন্স করে ‘প্রবল গর্বে’ গটগট করে বেরিয়ে গেল সে। যেন সত্যি করল সুমনের সেই গান, ‘বিড়ালের ন’খানা জীবন, একটি মাত্র যৌবন, বাকি সব প্রবীণ’।
ঘটনাটি আমেরিকার শিকাগোর সিক্সটি ফাইভ অ্যান্ড লোয় এলাকার। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর সওয়া তিনটে নাগাদ ছ’তলা বহুতলটির পাঁচ তলায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলের ট্যাঙ্কার রাখার জায়গা খুঁজছিলেন দমকল কর্মীরা। মার্জারের কিন্তু সে দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই। সে তখন ব্যস্ত ছিল জমি মেপে নিতে। তার পর এমন ভাবে ঝাঁপ দেয় যে দেওয়ালে আছাড় না খেয়ে সবুজ ঘাসে এসে পড়ে নিজের বিপদ নিজেই ‘কেটে’ বেরিয়ে যায় সে। তাতে আশেপাশের সকলে আঁতকে উঠলেও এক বার পিছন ফিরে তাকানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি সে।
শিকাগো দমকল বিভাগের তরফে সেই ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়েছে নেটমাধ্যমে। আড়াই হাজারের বেশি মানুষ সেটি শেয়ার করেছেন টুইটারে। তবে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপিয়েও যে বিড়ালটি আঘাত পেল না, তার জন্য বিড়ালটির শারীরিক গঠনকেই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ তাঁদের যুক্তি, বিড়ালের পায়ের নীচে নরম কার্পেটের মতো পেশী থাকে এবং তার ওজনের তুলনায় শরীরের বিস্তৃতি বেশি। প্রয়োজন পড়লে সে শরীর ফুলিয়ে আয়তন বাড়িয়ে নিতে পারে। যে কারণে পড়ার সময় চার পা বাতাসে ছড়িয়ে রেখে মাটি ছোঁয়ার আগেই ফের সঙ্কুচিত করে ধাক্কা সামলে নেয়। প্রমাণ করে তার ন’খানা জীবন আর একটিমাত্র মাত্র যৌবন।