ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ইমরান খান। গত ৭ এপ্রিল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছিল পাক শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ পিটিশন’ দায়ের করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
গত ৩ এপ্রিল তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার সুরি তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধান-বিরোধী এবং তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই পাক সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে এ নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হতে দিতে পারবেন না তিনি।
সুরির ওই ঘোষণার পরেই ইমরানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তার প্রতিবাদে সেদিন রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতৃত্ব। এর পর ৭ এপ্রিল পাক সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত পাক সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ডেপুটি স্পিকারের নির্দেশে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে ৯ এপ্রিল অনাস্থা ভোট কারনোর নির্দেশ দেন।
পরাজয় অনিবার্য বুঝে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অংশ নেননি। ইস্তফা দেন তিনি। শুক্রবার পাক সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে ইমরানের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বলছে, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ পরস্পরের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই আইনসভার ডেপুটি স্পিকার পাক সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, তা বাতিল করার অধিকার নেই সুপ্রিম কোর্টের।’’