জেনেভা শরণার্থী সম্মেলনে ইমরান খান। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতে সংখ্যালঘুদের ‘সঙ্কট’ নিয়ে তোপ দাগলেন ইমরান খান। আর তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
জেনেভায় বিশ্ব শরণার্থী সম্মেলনে গিয়ে মঙ্গলবার কাশ্মীর সমস্যা ও নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গ তোলেন ইমরান। বলেন, ভারতে কয়েক লক্ষ মুসলমান এই মুহূর্তে বিপন্ন। ইমরানের বিবৃতির জবাবে এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, আরও এক বার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন পাক প্রধান। মিথ্যাচারিতার অভিযোগও আনা হয়েছে পাক প্রধানের বিরুদ্ধে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গত ৭২ বছর ধরে পাকিস্তান নিয়ম করে সংখ্যালঘুদের তাড়িয়েছে। সেই সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছে ভারতে।’’ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) পাক সেনার অত্যাচারের উদাহরণও তুলে আনা হয় ওই বিবৃতিতে। ‘‘পাকিস্তান সম্ভবত সেই অত্যাচারের ইতিহাস বিস্মৃত হতে চাইছে’’, বিবৃতিতে লেখে বিদেশ মন্ত্রক।
জেনেভার বিশ্ব শরণার্থী মঞ্চে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার পাক প্রধান মন্তব্য করেন, ‘‘ভারতে যে রিফিউজি সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তার তুলনায় অন্য সমস্যাগুলি নিতান্তই নগন্য। আমরা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’’ ইমরান এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপও দাবি করেন। ইমরানের দাবি, যে কোনও দিন ভারত ছাড়তে পারেন লক্ষ লক্ষ মুসলিম শরণার্থী। তবে এই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের জায়গা দেওয়ার মতো অবস্থা পাকিস্তানের নেই, সে কথাও জানিয়ে রাখেন তিনি। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর পর ইমরানের উদ্দেশে বলেছে, এখন পাকিস্তানের উচিত নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা করা।
আরও পড়ুন:হঠাৎ গৃহীত বৈশাখীর ইস্তফা, প্রতিহিংসা? ক্ষোভ উগরে প্রশ্ন শোভনের
আরও পড়ুন: জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত দিল্লি, ভাঙচুর স্কুলবাসে
দিন কয়েক আগে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে ইমরান সরকারকে তুলোধোনা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও। রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ) রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তানের শাসকদল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কার্যকলাপ সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব সঙ্কটের জন্য দায়ী। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, ‘‘পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।’’