পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (বাঁ দিকে), ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
আবার ভারতের বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায়। এ বার সরাসরি ভরা জনসভায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ভাষণের ভিডিয়ো দেখালেন। তার পর উপস্থিত লক্ষ জনতার সামনে জানালেন, এই হল স্বাধীন দেশ!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মস্কোর সস্তার তেল কেনা নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন ইমরান। সেখানেই তিনি ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করেন। আর তা করতে গিয়েই স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভা ফোরামে জয়শঙ্করের বক্তৃতার ভিডিয়ো ক্লিপ শোনান। যেখানে রাশিয়ার সস্তা তেল কেনা নিয়ে ভারতের অবস্থান দৃঢ়তার সঙ্গে স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারত কেন রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। অথচ খবরে প্রকাশ, আমেরিকার রক্তচক্ষু সত্ত্বেও ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।
লাহৌরের লক্ষ লোকের জমায়েতে দাঁড়িয়ে ইমরান বলেন, ‘‘ওরা (আমেরিকা) ভারতকে নির্দেশ দিয়েছিল রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। আমেরিকার কৌশলগত মিত্র ভারত, পাকিস্তান নয়। এ বার শুনুন, ওদের (ভারতের) বিদেশমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সমাবেশে দাঁড়িয়ে কী বললেন এবং কী ভাবে বললেন!’’
তার পর মঞ্চেই ইমরান ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের এক টুকরো ভিডিয়ো চালিয়ে দেন। তা শেষ হওয়ার পর নিজে তর্জমা করে বলতে থাকেন, ‘‘জয়শঙ্কর বলছেন, আপনারা কে? জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপ রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে, এবং আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আমরাও কিনব। এই হল স্বাধীন সরকার! (ইয়ে হোতি হ্যায় আজাদ হুকুমত!)’’
পাশাপাশি শাহবাজ শরিফ সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। তাঁর দাবি, আমেরিকার চাপের কাছে মাথা নত করে পাকিস্তান রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছে না। ইমরান বলেন, ‘‘আমি রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করে এসেছিলাম। কিন্তু বর্তমান সরকারের হিম্মত হল না আমেরিকার সামনে মাথা উঁচু করে নিজের কথা বলার। আমি এই দাসত্বের বিরোধী।’’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, আগেও বহু বার ভারতের স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশংসা শোনা গিয়েছে ইমরানের গলায়। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীনও তিনি ভারতের বিদেশনীতির উচ্চকিত প্রশংসা করেছিলেন।