কর্মী-সমর্থকদের বিনা কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে সরকার পক্ষের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিলেন ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরি। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই উত্তাল পাকিস্তান। সেনা প্রধানের মধ্যস্থতায় এক বার রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও জট কাটেনি। এরই মধ্যে পাক তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খান ও পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক নেতা তাহিরুল কাদরির অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করছে সরকার। এমন ধরপাকড় চললে তাঁরা কথা চালিয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইমরান-কাদরিরা। শনিবারই আইন ভেঙে প্রতিবাদ দেখানোয় ১০০ বিক্ষোভকারীকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের এক আদালত।
শনিবার কাদরি জানান, দেশবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনতে প্রস্তুত নয় সরকার। ফলে এই অবস্থায় কথা চালানো অর্থহীন। ইমরান খানের দাবি, গত কাল থেকে তাঁদের প্রায় তিনশো সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক দিকে সমাধান খুঁজতে বিরোধীদের আলোচনার টেবিলে ডাকা পাশাপাশি আবার তাদেরই গ্রেফতার করা সরকার দু’মুখো নীতি নিয়ে চললে আলোচনা করা অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত বছর সাধারণ নির্বাচনে ৩৪২টির মধ্যে ১৯০টি আসন পায় নওয়াজ শরিফের দল। ইমরান খানের দল পায় মাত্র ৩৪টি আসন। বিপুল ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফ। অভিযোগ ওঠে, কারচুপি করে জিতেছেন নওয়াজ। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে লাহৌর থেকে মিছিল করে ইসলামাবাদে আসেন তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং তাহিরুল কাদরির সমর্থকেরা। রাজধানীতে ধর্নায়ও বসেন তাঁরা।
চলতি সপ্তাহেই পাক সরকার জানিয়েছিল, বিরোধীদের বেশির ভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভও এ বার মিটে যাবে। কিন্তু সরকারের ওই ঘোষণাকে আজ কার্যত ভুল প্রমাণ করে দিল ইমরান-কাদরিদের অবস্থান। আলোচনা থমকে যাওয়ায় জট কাটার বদলে এ বার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।