ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত নির্দলেরাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। এই আবহেই সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক ডজন মামলায় জামিন দিল একটি সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত। গত মে মাসে পাক সেনার একাধিক দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে পিটিআই কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে। একাধিক মামলা দায়ের হয় ইমরান, তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে। শনিবার ইমরানের পাশাপাশি এই মামলাগুলি থেকে মুক্তি পেয়েছেন কুরেশিও।
তবে অন্যান্য মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় আপাতত জেলেই থাকতে হবে পাকিস্তান রাজনীতির ‘কাপ্তান’কে। তবে সেনার বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাগুলি থেকে ইমরানের মুক্তি পাওয়া অন্য জল্পনাও উস্কে দিয়েছে। সে দেশের রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের অনুমান, ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে জেলবন্দি ইমরানের জনপ্রিয়তা আঁট করেই তাঁর প্রতি খানিক নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে সেনা। যদিও এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে ভোটে সাফল্য পেলেও ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে পারছেন না ইমরান। কারণ আরও এক বার হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ এবং বেনজির-পুত্র বিলাবল ভুট্টো জারদারি।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৫টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত নওয়াজের পিএমএল-এন ৭১টি এবং পিপিপি ৫৩টিতে জিতেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পিটিআই সমর্থিত নির্দলেরা ৯১ এবং নির্দল ও অন্যেরা এখনও পর্যন্ত ৩৫ আসনে জয়ী হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৩৩ জন জয়ীর সমর্থন পেলেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ছোঁয়া সম্ভব হবে। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে নওয়াজ-বিলাবলের জোট। এ ছাড়া নির্দল এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের মতো কট্টরপন্থী কয়েকটি দলের সমর্থনও তারা পেতে পারে।
গত বছর পাক সেনার রেঞ্জার্স বাহিনী ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। সেনার অন্তত ২০টি দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে ইমরান-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এমনকি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয় রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনার সদর দফতরও।