Imran Khan

ইমরান বোঝালেন, উন্নতি হচ্ছে দেশের

পাকিস্তানের উন্নতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইমরানের প্রথম যুক্তি, “ঋণখেলাপি হওয়ার গভীর সঙ্কট থেকে দেশ বেঁচেছে। জানি, দেশবাসীর কাছে এটা মোটেই সহজ ছিল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

ইমরান খান।

পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭৩ বছর পূর্তির দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ দাবি করলেন, “গত দু’বছর খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। বিদেশি মুদ্রা ছিল না। ঋণ শোধ করতে পারিনি। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।” স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রীরা প্রতি বছর নিয়ম করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

Advertisement

পাকিস্তানের উন্নতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইমরানের প্রথম যুক্তি, “ঋণখেলাপি হওয়ার গভীর সঙ্কট থেকে দেশ বেঁচেছে। জানি, দেশবাসীর কাছে এটা মোটেই সহজ ছিল না। আমি জানি কী কষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁদের যেতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।” পরিস্থিতির উন্নতির দ্বিতীয় যে যুক্তি ইমরান সামনে রেখেছেন, তা হল, নির্মাণ শিল্পে বিপুল অগ্রগতি। কর্মসংস্থান জোগানোর পাশাপাশি দেশের সম্পদও বাড়ছে এতে। ইমরানের মতে, পাকিস্তানের উন্নতির তৃতীয় লক্ষণ, কোভিড অতিমারির মধ্যেও লক্ষ্যের চেয়ে বেশি কর সংগ্রহ হয়েছে। বেড়েছে রফতানি। তবে ভারত-বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানে বিদ্যুৎ তৈরির খরচ বেশি। তাই শীঘ্রই বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থায় সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ইমরান।

একজোট হয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ২,৮৭,৩০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন কোভিড-১৯-এ। মারা গিয়েছেন ৬১৫৩ জন। প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮। প্রতিবেশী ভারতে সংখ্যাটা ৩৫। ইমরানের মতে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই ও অর্থনীতির উপরে এর ধাক্কা সামলানো— বিশ্বের আর কোনও দেশ পাকিস্তানের মতো এই দু’টির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পেরেছে কি না সন্দেহ। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এর মানে এই নয় যে লড়াইটা আমরা জিতে গিয়েছি।”

Advertisement

কাশ্মীর প্রসঙ্গে যথারীতি ইমরানের দাবি, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরবাসীর লড়াইয়ে পাকিস্তান নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন জুগিয়ে যাবে। বিশ্বের প্রতিটি মঞ্চে তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে যাবেন।
যদিও সাম্প্রতিক অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন মঞ্চে এ কাজ করে আদৌ হালে পাননি ইমরান।

এ দিন সকালে টুইটারে পাক প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আইনের শাসন, সব নাগরিকের সমাধিকার, করুণার ভিতে দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র, অর্থাৎ কয়েদ (মহম্মদ আলি জিন্না)-এর পাকিস্তানের লক্ষ্যে পথ চলা শুরু করেছে দেশ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement