ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কার হাল হতে আর খুব দেরি নেই পাকিস্তানের। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো এ দেশের মানুষও ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’ চেয়ে রাস্তায় নেমে আসবেন। এমনই মনে করছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দু’দিন আগেই ইমরানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত পিএমএল-কিউয়ের প্রার্থী চৌধরি পারভেজ় ইলাহিকে হারিয়ে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন হামজ়া শাহবাজ। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের পুত্র হামজ়ার কুর্সি দখলেও বিতর্কের আঁচ লেগেছে। কারণ ইলাহি তাঁর চেয়ে বেশি ভোট পাওয়া সত্ত্বেও ১০টি ভোট নাকচ করে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। সেই লড়াই এখন সুপ্রিম কোর্টে।
এই পরিস্থিতিতে গত কাল টুইটারে শাসক জোটকে তীব্র আক্রমণ করে ইমরান লিখেছেন, ‘‘মাত্র তিন মাসেই (আসিফ আলি) জ়ারদারিদের এবং শরিফদের মাফিয়ারা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেশের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে। এদের লক্ষ্য, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানকে লুট করে জড়ো করা সম্পদ আগলে রাখা।’’ ইমরান জানিয়েছেন, তিনি প্রকৃত স্বাধীনতা (হকিকি আজ়াদি)-র ডাক দেওয়ার পরে জনতার সাড়া পেয়েছেন। মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ-ও বুঝতে পেরেছেন যে, তাঁরা মাফিয়াদের রাজত্ব আর চলতে দেবেন না। এর পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘সেই দিন আর বেশি দূরে নেই, যে দিন শ্রীলঙ্কার মতো আমাদের দেশের মানুষও রাস্তায় নেমে আসবেন।’’
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে পিপিপি নেতা জ়ারদারির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন ইমরান। সে দিন ভোটাভুটির পরে দেখা গিয়েছিল, পিটিআই ও পিএমএল-কিউয়ের প্রার্থী ইলাহি পেয়েছেন ১৮৬টি ভোট। হামজ়া পেয়েছেন ১৭৯টি ভোট। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজ়ারি একটি চিঠি পড়ে জানান, পিএমএল-কিউ প্রধান চৌধরি শুজাত হুসেন ওই চিঠিতে তাঁর দলের সব সদস্যকে হামজ়ার পক্ষে ভোট দিতে বলেছেন। এই প্রসঙ্গে পাক সংবিধানের ৬৩এ ধারা উল্লেখ করে পিএমএল-কিউয়ের দশ জন সদস্যের ভোট বাতিল করে দেন তিনি। ফলে তিন ভোটে জিতে হামজ়া মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান।
বিরোধীদের যদিও দাবি, শুজাত এমন কোনও নির্দেশ দেননি। ইলাহি রাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরে প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও ডেপুটি স্পিকারকে তলব করেছে কোর্ট। আগামিকাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হামজ়াকে কাজ চালাতে বলা হয়েছে।