ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
নির্বাচন না হলে দুই প্রাদেশিক বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার তাঁর দাবিতে এখনও পর্যন্ত আমল না দেওয়ায় এ বার ‘চরম পদক্ষেপ’ করার হুমকি দিলেন তিনি। দেশে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন না হওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রমশ ডুবছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত দেশে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হল না। আমরা সকলে ভয় পাচ্ছি, কারণ দেশ ক্রমশ ডুবছে।” আগামী ২৩ ডিসেম্বর পঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ইমরান যখন এই ঘোষণা করছেন, তখন তাঁর দু’পাশে বসে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই দু’টি প্রাদেশিক বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ইমরানের দল পিটিআইয়ের।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কারণও জানিয়েছেন ইমরান। বলেছেন, “বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পরই আমরা এই দু’টি প্রদেশে নতুন করে নির্বাচনে যাব।” পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ থেকে পিটিআইয়ের ১২৫ জন সদস্য পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন আগেই। কিন্তু স্পিকার তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে চাননি। এ প্রসঙ্গে ইমরান জানিয়েছেন, স্পিকারকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের জন্য তাঁরা ফের আবেদন জানাবেন।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর জোট সরকার পরাজয়ের ভয় থেকেই নির্বাচনে যেতে চাইছে না দাবি ইমরানের। ভোটেই মানুষ তাঁদের উচিত জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন পিটিআই প্রধান। অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারানো ইমরান আগেই তাঁর অপসারণের জন্য সেনা এবং আন্তর্জাতিক ‘চক্রান্ত’কে দায়ী করেছিলেন। শনিবার সরাসরি তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নাম করে বলেছেন, “পিটিআই সরকারকে ফেলে দেওয়ার নেপথ্যে কেউ যদি থেকে থাকেন, তবে তাঁর নাম বাজওয়া।”