ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
অন্তত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ফোন নম্বর ছিল পেগাসাসের নিশানায়!
বিশ্বের ১৭টি সংবাদমাধ্যম একজোটে তদন্ত চালিয়ে সম্প্রতি ৫০ হাজার নম্বরের একটি তথ্যভান্ডার ফাঁস করেছে। দাবি, এই নম্বরগুলি ইজ়রায়েলি সংস্থার তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের নিশানায় ছিল। তালিকায় নাম রয়েছে অন্তত তিন দেশের প্রেসিডেন্ট ও এক রাজার। তাঁরা হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা, ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সাহিল এবং মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ। নাম রয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও। মিশর ও মরক্কোর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন এই তালিকায়। এ ছাড়া লেবানন, উগান্ডা, আলজিরিয়া, বেলজিয়াম-সহ আরও সাত প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতার নাম আছে সেখানে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁদের নিশানা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একমাত্র ইমরানের দু’টি নম্বরই ছিল পেগাসাসের নিশানায়। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর, খুন হওয়া সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রী ও প্রেমিকার নম্বরও ওই তালিকায় ছিল।
পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতার যে অভিযোগে তোলপাড় গোটা বিশ্ব তাতে এখনও নিজেদের বক্তব্যেই অনড় ইজ়রায়েলি নির্মাতা সংস্থা এনএসও। প্রথম থেকেই তারা দাবি করে আসছে, ওই তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে তাদের সংস্থা, স্পাইওয়্যার বা গ্রাহকের কোনও যোগসূত্র নেই। এখনও পর্যন্ত ৩৬টি দেশের সরকার তাদের গ্রাহক। সন্ত্রাস-দমন, প্রতিরক্ষার মতো গুরুতর বিষয়ে তথ্য জোগাতে কেবল মাত্র সরকারি সংস্থাকেই তারা এই প্রযুক্তি বিক্রি করেছে। অভিযোগ না থাকলে ক্রেতার উপরে তারা নজরদারি চালায় না বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে এনএসও জানায়, মাকরঁ, হু-র ডিরক্টর এবং মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ— এই তিন জন কখনওই তাদের ক্রেতা সংস্থার নিশানায় ছিল না। ফরেন্সিক পরীক্ষায় তালিকায় রয়েছে এমন ৩৭টি ফোনে পেগাসাসের অস্তিত্ব মিলেছে।