ছবি সংগৃহীত
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চিনা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে, ফরাসি পারমাণবিক সংস্থার সতর্ক বার্তা পেয়েই তৎপর আমেরিকা। চিনের গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান পারমাণবিক কেন্দ্রে ঠিক কী ঘটেছে, সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সম্ভাবনা ঠিক কতটা, সে সব নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ করা শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন। বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতি এবং উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব নিয়ে আমেরিকা ও চিনের সম্পর্ক আগেই তলানিতে ঠেকেছে। সেই বৈরিতায় এই ঘটনা নয়া সংযোজন বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবারিরা।
চিনের ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে ফরাসি সংস্থা ফ্রামাটোনেরও অংশীদারী রয়েছে। ওই প্লান্টে যান্ত্রিক গলদ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারাই আমেরিকার দ্বারস্থ হয়। তার পরই শুরু হয় খোঁজ। ফরাসি সংস্থা এও জানিয়েছে, লোকসানের ভয়ে পারমাণবিক চুল্লি যাতে বন্ধ করে দিতে না হয়, তার জন্য তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গমনের ঊর্ধ্বসীমা টানা বাড়িয়েই চলেছিল চিনা সরকার। যার জেরে এই বিপত্তি হয়ে থাকতে পারে। যদিও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা একেবারেই খারিজ করেছে দিয়েছে চিনা প্রশাসন।