বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানালেন ভারতের বায়ুসেনার প্রধান অরূপ রাহা। এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা পাঁচ দিনের সফরে এখন বাংলাদেশে। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার বিধ্বংসী হামলায় যে ভাবে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান, তার প্রশংসা করেছেন হাসিনা।
দেখুন গ্যালারি:
পর পর তিন যুদ্ধে পাকিস্তানকে এই ভাবে পর্যুদস্ত করেছে ভারত!
বাংলাদেশ তাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর ভূমিকার কথা বার বারই স্বীকার করেছে। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-সহ অনেককেই হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধ সম্মান দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বে ভারত সরকার যে ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় এগিয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বের চাপ অগ্রাহ্য করে, সে কথা মাথায় রেখে ইন্দিরা গাঁধীকে মরণোত্তর মুক্তিযুদ্ধ সম্মান দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত এ বার সম্মান জানাতে চায় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের। বিমানবাহিনী এই সম্মান জানাবে। এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা নিজেই সে কথা প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
চিনকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মায়ানমারে নোঙর করল ভারতের দুই যুদ্ধজাহাজ
রবিবার বাংলাদেশ গিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান। শেখ হাসিনার দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং পরিকাঠামোগত আদানপ্রদান বৃদ্ধির বিষয়েও দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। হাসিনা-অরূপ বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইশানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা আলোচনা করেছেন। আকাশপথে প্রবল আক্রমণ চালিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী যে ভাবে পাক সেনাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল, হাসিনা তার প্রশংসা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাবা মুজিবুর রহমানকে জেলবন্দি করে পাক সেনা। মেয়ে হাসিনা-সহ মুজিবুরের পুরো পরিবারকে গৃহবন্দি করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রায় বেশ কয়েক বছর হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধানের আলোচনায় সে সব প্রসঙ্গও উঠে আসে বলে হাসিনার দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে। ভুটান-বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল সড়ক ও রেলপথ নির্মানের ব্যাপারে ভারতের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন হাসিনা।
(এর আগে এই প্রতিবেদনে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল ছিল। সেই ভুলগুলির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সঠিক তথ্য-সহ প্রতিবেদনটি আবার ছাপা হল।)