পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। (ফাইল চিত্র)
পুলিশের আধিকারিক এবং এক মহিলা দায়রা বিচারকের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কিছুদিন আগেই ফের সংবাদ শিরোনামে এসেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার ‘আমি ভীষণ বিপজ্জনক’ বলে ফের দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তিনি। এই মন্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসক়জোটকেই নিশানা করেছেন বলে মনে করছে সে দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইমরান বলেন, “পাকিস্তানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। দেশের সরকার পাকিস্তানকে উপহাসের বিষয় করে তুলছে।” দেশে যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কোনও সময় যে কোনও গুরুতর অভিযোগ আনা হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-কে দেশের ‘বৃহত্তম দল’ বলে অভিহিত করে ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের সরকার ‘বৃহত্তম দলে’র প্রধানকে গ্রেফতার করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। নিজেদের বাঁচাতেই সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশ আধিকারিক এবং এক মহিলা দায়রা বিচারকের বিরুদ্ধে ‘কুমন্তব্য’ করার দায়ে ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা দায়ের হলে তিনি সন্ত্রাসদমন আদালতের দ্বারস্থ হন। ইসলামাবাদের সন্ত্রাসদমন আদালত আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। এর আগে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর চেয়ারম্যান ইমরান।
এর আগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছিলেন, ২৫ অগস্ট রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হলেই গ্রেফতার করা হবে ইমরানকে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিও জোগাড় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আপাতত শর্তসাপেক্ষে প্রাক্-গ্রেফতারি জামিনে থাকলেও তিনি গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকরাই।