Hurricane Otis

হারিকেন ওটিসে বিধ্বস্ত মেক্সিকো

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেক্সিকোর উপকূলবর্তী শহর আকাপুলকোতে আছড়ে পড়ে হারিকেন ওটিস। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আকাপুলকো (মেক্সিকো) শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫১
Share:

ওটিসের দাপটে ধ্বস্ত। মেক্সিকোর আকাপুলকো শহর। ছবি: রয়টার্স।

কোথাও ভাঙল বাড়ি, কোথাও আবার জলমগ্ন রাস্তায় ডুবল গাড়ি। হারিকেন ওটিসের জেরে বিপর্যস্ত মেক্সিকোর একাধিক এলাকা। ঝড়ের ফলে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। নিখোঁজ অন্তত চার। সে দেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওটিসের প্রভাবে প্রায় একশো কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেক্সিকোর উপকূলবর্তী শহর আকাপুলকোতে আছড়ে পড়ে হারিকেন ওটিস। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার। প্রাথমিক ভাবে ঝড়ের গতিবেগ কম হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও দেখা যায়, অতি দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে সব চেয়ে শক্তিশালী ‘ক্যাটেগরি ৫’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে ওটিস। ঝড়টির প্রভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় আকাপুলকো, মোরেলস-সহ একাধিক শহর। ভেঙে পড়ে বাড়িঘর। আকাপুলকোর একটি শপিং সেন্টারের একাংশ ও বেশ কিছু রিসর্ট ভেঙে পড়ে। ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় ব্যহত হয় যান চলাচল। কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছু গাড়িও ডুবে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গেরেরো শহরের ৩০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে। উদ্ধারকাজে নামে সাড়ে আট হাজার সেনা। সরকারের তরফে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হলেও কোথায় বা কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। নিখোঁজ চার জন। আমেরিকার জাতীয় হারিকেন সেন্টারের তরফে ভারী বৃষ্টির ফলে হড়পা বান ও বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খাদ্য ও জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

এ দিন ঝড়-বিধ্বস্ত মেক্সিকোর বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া বাড়ি-ঘর-গাছের ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। কোথাও আবার দেখা যায়, কাচ যাতে গায়ে না ভেঙে পড়ে, তাই দরজা-জানলাহীন ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। ছড়িয়ে পড়ে ঝড়-বিধ্বস্ত রিসর্টে চলা লুটপাটের ছবিও। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, তা দেখা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement