উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ। এএফপি
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ খোঁজা তাঁর নেশা। সেই নেশাতেই আল্পস-এর মঁ ব্লাঁ-য় ড্যানিয়েল রশ সম্ভবত খুঁজে পেলেন প্রায় অর্ধশতকেরও আগে হারিয়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বা দু’টি বিমানের যাত্রীদের দেহাবশেষ।
মঁ ব্লাঁ-র বসনস হিমবাহে খোঁজ চালাতে গিয়ে রশ-এর চোখে পড়ে একটি কাটা হাত ও পায়ের উপরের অংশ। তিনি জানান, এই প্রথম কোনও মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পেলেন।
১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর মঁ ব্লাঁ-য় ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুযারি এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই-নিউ ইয়র্ক বোয়িং ৭০৭ বিমান ১১৭ জন যাত্রী নিয়ে হারিয়ে যায় মঁ ব্লাঁর চূড়ার কাছে। এই বিমানের যাত্রী ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবা। দু’টি দুর্ঘটনাতেই কোনও যাত্রীর দেহাবশেষও এত দিন মেলেনি। এর আগে ওই দুর্ঘটনাস্থলে ভারতীয় সংবাদপত্র ও ক্যামেরা মিলেছিল। ২০১৩ সালে পাওয়া গিয়েছিল বহুমূল্য রত্নে ভরা বাক্স।
রশ-এর ধারণা, দেহাবশেষগুলি বোয়িং ৭০৭ বিমানটির কোনও মহিলা যাত্রীর। তিনি একটি বিমানের চারটি জেট ইঞ্জিনও পেয়েছেন। দেহাবশেষ পাওয়ার খবর রশ পাঠান চামোনিক্স উপত্যকার জরুরি পরিষেবায়। তাঁরা হেলিকপ্টার এনে অবশেষগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
প্রশাসনিক কর্তা স্টিফেন বোজন জানান, ‘‘হয়তো এই দেহাবশেষ একই যাত্রীর নয়। কিন্তু ওগুলি ঠিক কোন বিমানের যাত্রীর, তা বলা মুশকিল।’’ দশ দিন আগেই, সুইস আল্পস-এর ডায়াবেলার্তিস ম্যাসিফ অঞ্চলে ৭৫ বছর ধরে নিখোঁজ এক দম্পতির দেহ মেলে। হিমবাহের কিছু অংশ গলে দেহ দু’টি বেরিয়ে আসে। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, দেহ দু’টি জুতো প্রস্তুতকারক মার্সেলিন ডুমোলিন ও তাঁর স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী ফ্রান্সিন-এর।