প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে ৪ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মাইক্রোসফ্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে অসুরক্ষিত অবস্থায়! সাধারণ মানের ইউজারনেম বা দুর্বল পাসওয়ার্ডের জন্য ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে বিপদসীমার মধ্যে। সম্প্রতি এ কথা জানতে পেরেছে মাইক্রোসফ্ট।
‘পিসি ম্যাগ’ নামে একটি ম্যাগাজিনের দাবি, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ওই অ্যাকাউন্টগুলির প্রতিটিই খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছে মাইক্রোসফ্ট-এর থ্রেট রিসার্চ টিম। তাতেই ধরা পড়েছে সুরক্ষার বড়সড় ফাঁকফোকর। ফলে ওই অ্যাকাউন্টধারীদের নানা তথ্যই এখন নেটদুনিয়ায় সহজে মিলতে পারে। যা কিনা ডার্ক ওয়েবের মতো বিপজ্জনক দুনিয়ায় ব্যবহার করতে পারেন যে কেউ!
বিপদ যে কতটা ভয়ঙ্কর তা বোঝা যাবে আরও একটি তথ্যে। নেট দুনিয়ায় ফাঁস হয়ে যাওয়া ৩০০ কোটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডের প্রতিটি স্ক্যান করার পর মাইক্রোসফ্ট জানিয়েছে, তার মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্টের সুরক্ষাজনিত ফাঁকফোকর রয়েছে। মাইক্রোসফ্ট সূত্রে খবর, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসেই দেখা গিয়েছে, ৪১০ কোটি রেকর্ডের ভাণ্ডার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে নেটদুনিয়ায়। যা থেকে বিপাকে পড়তে পারেন কোটি কোটি ইউজার।
আরও পড়ুন: টাকা-বাড়ি চাই না, দোষীদের ৭ দিনের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করুন, দাবি উন্নাও-কন্যার পরিবারের
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু করুন, আটকদের মুক্তি দিন, মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পাশ
সিকিউরিটি রিসার্চারদের মতে, ওই অসুরক্ষিত ডেটা পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, খুব সাধারণ মানে ইউজারনেম ও দুর্বল পাসওয়ার্ড রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টগুলিই বিপদসীমার মধ্যে রয়েছে। তা ছাড়া, বার বার একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও বিপদ বাড়ে বই কমে না। যদিও শুধুমাত্র মাইক্রোসফ্টেই এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪ কোটি।
আরও পড়ুন: উন্নাওয়ের ছায়া ত্রিপুরায়, কিশোরীকে টানা দু’মাস ধরে ধর্ষণ, শেষমেশ পুড়িয়ে মারল প্রেমিক
তবে কী উপায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার জন্য বিশেষ কসরত করতে হবে না। ইমিউনিওয়েব নামে একটি ওয়েব সিকিউরিটি সংস্থার সিইও ইলিয়া কোলেচেঙ্কো ইউজারদের নিজের অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাসওয়ার্ডটি যাতে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (এমএফএ)-এর মধ্যে দিয়ে যায়, তা দেখাটাও ইউজারদের কর্তব্য। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রেকর্ড বলছে, এমএফএ-এর সুরক্ষা থাকলে সুরক্ষাজনিত ৯৯.৯ শতাংশ ঝুঁকি রোধ করা যায়।’’ তবে এমএফএ বা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (২এফএ)-এর সুরক্ষা বলয় রাখতে অনীহা দেখান বহু ইউজার। ফলে বিপদের মধ্যে পড়ে যায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট।