Bangladesh

বাংলাদেশের মসজিদে খুলল দান সিন্দুক, মিলল ২৯ বস্তা টাকা! সঙ্গে প্রচুর সোনার গয়না, বৈদেশিক মুদ্রা

প্রতি তিন-চার মাস অন্তর বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। শনিবার দান সিন্দুক খোলার পর তা থেকে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে মিলেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৬
Share:

শনিবার সকালে বাংলাদেশের পাগলা মসজিদে দান সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদে শনিবার ফের দানের টাকা গোনা শুরু হয়েছে। মোট ১১টি দান সিন্দুকের টাকা গোনা চলছে। ভারতীয় সময় অনুসারে, শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ দান সিন্দুক খোলা হয়। তা থেকে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সোনার অলঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, টাকা গোনা শুরুর প্রথম চার ঘণ্টাতেই ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি টাকা) পাওয়া গিয়েছে। খুচরো টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। পাগলা মসজিদের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতীতে মসজিদে দানের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে এ বারের গণনায়।

Advertisement

এর আগে অগস্ট মাসে এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। তখন ৯টি দান সিন্দুক থেকে ২৮টি বস্তা পাওয়া যায়। তাতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ কোটি ২২ লাখের বেশি টাকা মেলে। এ বার দান সিন্দুকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সিন্দুকের ভিতর থেকে পাওয়া বস্তার সংখ্যাও আগের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া সোনার গয়না, হীরে এবং বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায় সে সময়ে।

প্রতি তিন-চার মাস অন্তর বাংলাদেশের করিমগঞ্জের এই মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই দানের টাকা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদেরও সাহায্য করা হয়। শনিবার সকাল থেকে ৭০ জন ব্যাঙ্ক কর্মী, মসজিদ কমিটি এবং পুলিশকর্মীরা মিলে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন মসজিদের দান সিন্দুকের টাকা গণনা শুরু করেন।

Advertisement

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বড় মন্দির, গির্জা, গুরুদ্বার কিংবা মসজিদে প্রচুর পরিমাণে দান হয়। উদাহরণ হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দির কিংবা পঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরে প্রতি বছরে হাজার হাজার ভক্ত দান করেন। সেই অর্থ উপাসনাস্থলের উন্নয়ন এবং অন্য সামাজিক কাজকর্মে ব্যয় হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement