হ্যাঁ, চিনও বলছে কাশ্মীর নিয়ে ঝগড়াটা কামানের গোলায় না উড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বসেই মেটাক ভারত ও পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে তার সমর্থনের পাল্লাটা যে ইসলামাবাদের দিকেই কিছুটা ঝুঁকে, তা বোঝাতে দ্বিধা না করলেও, উরি হামলা আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর গুলিযুদ্ধ যাতে আর বেশি দূর না গড়ায়, ভারত আর পাকিস্তান, দু’টি দেশকেই তার ওপর নজর রাখতে বলেছে বেজিং। বিষয়টা আলোচনার টেবিলেই দু’টি দেশকে মেটানোর আর্জি জানিয়েছে ব্রিটেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানও।
বেজিংয়ে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেঙ শুয়াঙ বলেছেন, ‘‘আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন দিক দিয়ে ভারত ও পাকিস্তান, দু’টি দেশের সঙ্গেই আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে বিষয়টা ভালয়-ভালয় মিটে যায়। দু’টি দেশকেই সংযত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমাদের আশা, দু’টি দেশই আবার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতবিরোধগুলি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করবে। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে আমরা মর্যাদা দিলেও চাইব, উপমহাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে আবার হাত মিলিয়ে নেবে দু’টি দেশ।’’
চিনের মন্তব্যে কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের দিনে সমর্থনের পাল্লাটা ঝুঁকিয়ে রাখার আপাত চেষ্টা থাকলেও, ব্রিটেন কোনও পক্ষপাত দেখায়নি। ব্রিটিশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আমরা দু’টি দেশের কাছেই সংযত থাকার আর্জি জানিয়েছি। দু’টি দেশের সঙ্গেই আলাদা আলাদা ভাবে কথাবার্তা চালিয়েও যাচ্ছি।’’
অন্য দিকে, বাংলাদেশের সমর্থনের পাল্লাটা প্রত্যাশিত ভাবেই, একটু বেশি ঝুঁকে রয়েছে ভারতের দিকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ইকবাল চৌধুরী ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘‘ভারত আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অধিকারেরই সদ্ব্যবহার করেছে। কোনও অনৈতিক কাজ করেনি। বরং অন্য দেশটি (পাকিস্তান) আইন ভেঙে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছিল অনৈতিক ভাবে।’’
ও দিকে, শ্রীলঙ্কা জানাল, সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের পরিস্থিতি এখন নেই। এর জন্য সব রকমের সন্ত্রাসবাদই দায়ী।
আলাদা ভাবে আমেরিকার তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস ইসলামাবাদে টেলিফোন করে শরিফ প্রশাসনকে জঙ্গি দমনে তড়িঘড়ি আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।