তালিবানের কাছে হেরেছে প্রতিরোধ বাহিনী ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
বেশ কয়েক দিন লড়াইয়ের পরে পঞ্জশিরে হার মানতে হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনীকে। সোভিয়েত আগ্রাসন যারা রুখে দিয়েছিল, সেই প্রতিরোধ বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে পড়েছে তালিব যোদ্ধাদের সামনে। পঞ্জশিরে উড়ছে তালিবানি পতাকা। হেরে যাওয়ার পরে পার্বত্য এলাকার গোপন ডেরায় লুকিয়ে প্রতিরোধ বাহিনীর অনেক যোদ্ধা। কিন্তু কেন তালিবানের কাছে পরাজিত হল প্রতিরোধ বাহিনী? কী ভাবে দুর্ভেদ্য পঞ্জশিরের দখল নিল তালিবান?
হারের কারণ হিসাবে প্রধান যে কয়েকটি কারণের কথা তুলে ধরছে প্রতিরোধ বাহিনী, তার মধ্যে অন্যতম হল তালিব সেনার সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে গোপন ডেরায় লুকিয়ে থাকা প্রতিরোধ বাহিনীর এক যোদ্ধা বলেছেন, ‘‘আমাদের থেকে তিন গুণ বেশি সেনা ছিল ওদের। বার বার ওরা আক্রমণ করেছে। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিরোধ করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের নেতৃত্ব আমরুল্লা সালেহ্ ও আহমেদ মাসুদ সব শক্তি দিয়েও পঞ্জশির রক্ষা করতে পারেননি।’’
দ্বিতীয় কারণ হিসাবে উঠে আসছে প্রতিরোধ বাহিনীর পুরনো অস্ত্র। যে অস্ত্র নিয়ে তাঁরা লড়েছেন, তার মধ্যে বেশির ভাগই সোভিয়েত আমলের। অন্য দিকে তালিব যোদ্ধাদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। সেই অস্ত্রের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে আফগান সেনাও। ট্যাঙ্ক, ড্রোনের ব্যবহার করেছে তালিবান। আর তাতেই অনেক পিছিয়ে পড়েছে মাসুদ বাহিনী।
প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি, তালিবানকে সাহায্য করেছে পাকিস্তান। পাক বিমানবাহিনী হামলা চালায় প্রতিরোধ বাহিনীর অনেক দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে। সেই হামলার জবাব তাদের কাছে ছিল না। বিমান হামলার ফলে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায় প্রতিরোধ। ফলে প্রাকৃতিক অবস্থানের দিক থেকে ভাল জায়গায় থাকলেও তালিব সেনার হাতে পতন হয় পঞ্জশিরের।