কী ভাবে দুর্ঘটনা ধরা পড়ল ক্যামেরায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
যাত্রিবাহী বিমানটি অবতরণ করছিল। আর ঠিক সেই সময়েই আমেরিকার সেনার চপার বিমানের সামনে চলে আসে। চপার এবং বিমান দু’টিই তখন পোটোম্যাক নদীর উপরে। ধাক্কা লাগতেই যাত্রিবাহী বিমানটি নদীতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিক ভাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা। দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
জানা গিয়েছে, যাত্রিবাহী বিমানটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের। ৫৩৪২ উড়ানটি রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে নামছিল। নামার ঠিক আগের মুহূর্তেই পোটোম্যাক নদীর উপর আমেরিকা সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে যাত্রিবাহী বিমানের ডান দিকে থেকে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটি আসে। আর তার পরই সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষের পরই মাঝ আকাশে আগুনের গোলা দেখা যায়। পরে জানা যায়, বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। তবে সেনার কপ্টারে তিন জনের কোনও খোঁজ নেই।
কানসাসের সেনেটর জেরি মর্গ্যান জানিয়েছেন, কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে আসছিল বিমানটি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় সেটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তার পরই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমানের ওঠানামা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানটিতে কর্মী-সহ ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন।