কমলা হ্যারিস। —ফাইল চিত্র।
তাঁর নেতৃত্ব নতুন করে উদ্দীপনা এনেছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘পরিবর্ত’ হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার পর বাড়ছে জনসমর্থনও। জনমন সমীক্ষায় রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইতিমধ্যেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী তহবিল সংগ্রহেও নতুন নজির গড়ে ফেললেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার তহবিলের জন্য গত এক মাসে ৫৪ কোটি ডলার (প্রায় ৪৫৩২ কোটি টাকা) সংগ্রহ করেছে কমলা হ্যারিসের প্রচার দফতর। নির্বাচনী প্রচারের জন্য এক মাসে এই পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড। সমর্থনের এই ধারা বজায় থাকলে আগামী ৫ নভেম্বরের ভোটে কমলার জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।
জুন মাসের শেষ পর্বে ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের প্রথম বিতর্কের পরে ডেমোক্র্যাট দলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে, বাইডেন কি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আগামী পাঁচ বছর এই পদ সামলাতে পারবেন? তার পর জুলাইয়ের মধ্য পর্বে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন। গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কমলার প্রার্থিপদ দলীয় অনুমোদন পেয়েছে।
কনভেনশনের শুরুতে বাইডেনের বিদায়ী বক্তৃতা থেকে চতুর্থ দিনের শেষে হ্যারিসের মনোনয়ন গ্রহণ বক্তৃতা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ওই কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন। যা ঘিরে নতুন উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। গত দু’মাসের নাটকীয় ওঠাপড়া কাটিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, অথবা সেলিব্রিটি ওপ্রা উইনফ্রি, সকলের বক্তৃতায় উত্তাল হয়েছেন উপস্থিত দর্শক। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বহু কৃষ্ণাঙ্গ নেতা। এ বছরের কনভেনশন চেয়ারম্যান মিনিয়ন মুর এবং ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান জেমি হ্যারিসন দু’জনেই কৃষ্ণাঙ্গ আর তাঁরা স্বাগত জানান আমেরিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে।