ইমপিচ তদন্তে সায় হাউস ভোটে 

২৩২-১৯৬ ভোটে তদন্তপন্থীরা আজ জেতেন। দু’জন ডেমোক্র্যাট তদন্তের বিরোধিতা করে ভোট দেন। এক জন স্বাধীন (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) সদস্য তদন্তের পক্ষে ভোট দেন। তিন জন রিপাবলিকান এবং এক জন ডেমোক্র্যাট ভোটদানে বিরত ছিলেন। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২৪
Share:

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ভোটাভুটির পর।—ছবি রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্ত পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত মিলল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ভোটে। এর পর ইমপিচমেন্ট তদন্তে জনশুনানি শুরু করতে বাধা রইল না।

Advertisement

২৩২-১৯৬ ভোটে তদন্তপন্থীরা আজ জেতেন। দু’জন ডেমোক্র্যাট তদন্তের বিরোধিতা করে ভোট দেন। এক জন স্বাধীন (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) সদস্য তদন্তের পক্ষে ভোট দেন। তিন জন রিপাবলিকান এবং এক জন ডেমোক্র্যাট ভোটদানে বিরত ছিলেন।

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে এই প্রথম ভোটাভুটি হল হাউসে। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি অগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করিয়েছেন। তখন ভোটাভুটি ছাড়াই এগিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। তাই এই তদন্তকে অবৈধ বলে দাবি করছিলেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু সম্প্রতি আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। হোয়াইট হাউস এই তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করবে না বলেছিল। কিন্তু তার পরেও অনেকে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১৬-র নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে প্রাক্তন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট ম্যুলারের তৈরি করা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে হাউসের হাতে তুলে দিতে চাইছিল না হোয়াইট হাউস। আদালত সেটাও খারিজ করেছে।

Advertisement

আজকের ভোটে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের ফলে এ বার জনশুনানি, টেলিশুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ১২ নভেম্বর থেকে তা শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ ডেকে আনছেন। এর মধ্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের কল-রেকর্ড সামনে আসায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকাশিত ২৫ জুলাইয়ের ওই কল-রেকর্ডটি ‘সম্পাদিত’। কথোপকথনের পুরোটা রেকর্ডে নেই। রিপাবলিকানরা সেই দাবি উড়িয়ে বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা ‘সোভিয়েত ঘরানা’র আশ্রয় নিচ্ছেন।

মার্কিন আইন মোতাবেক যদি হাউস তদন্ত-শেষে ট্রাম্পকে শেষ পর্যন্ত ইমপিচ করেও, সেটাই চূড়ান্ত নয়। তখন সেনেটে শুনানি শুরু হবে। সেখানে যদি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য বিরুদ্ধে ভোট দেন, তবে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করা যাবে। এর আগে প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট বিষয়ক ভোটাভুটি তিন বার হয়েছে হাউসে। অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিন্টনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। হাউসে তা পাশও হয়েছিল। সেনেটে দু’জনেই জিতে যান। রিচার্ড নিক্সনের ব্যাপারটা অন্য রকম। তিনি হাউস এবং সেনেট, দু’জায়গাতেই পরাজিত হবেন এবং অপসৃত হবেন বুঝে আগেভাগে পদত্যাগ করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement