গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। ছবি: পিটিআই।
১৭ দিনের যুদ্ধের বলি গাজ়ার ৫,০০০-এরও বেশি প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। যার প্রায় অর্ধেকই শিশু! সোমবার এই তথ্য দিয়েছে স্বশাসিত প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে ইজ়রায়েলি অবরোধের জেরে গাজ়ার বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুতের জোগান অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে বিশেষত ইনকিউবেটরে থাকা শিশু আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসর হামলার পরে ধারাবাহিক ভাবে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটারের গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল ফৌজ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের নির্দেশে কয়েক হাজার টন বোমা আর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানা হয়েছে ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের আবাসভূমিতে। পাশাপাশি, জল, খাবার, বিদ্যুৎ, গ্যাস এমনকি ওষুধ সরবরাহের উপর জারি করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
এই পরিস্থিতিতে গাজ়ায় মৃত্যুমিছিল দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। সেখানকার আল-শিফা হাসপাতালের ডাক্তার নাসের বুলবুল সোমবার জানান, ইজ়রায়েল বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করায় জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের হাসাপাতালের প্রসূতি বিভাগে এখন ৫৫টি শিশু রয়েছে। পাঁচ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে তাদের সকলেই হয়ত মারা যাবে।’’
প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, ‘‘গাজ়ার বিভিন্ন হাসপাতালে এখন বৈদ্যুতিক ইনকিউবেটরে ১৩০টি সদ্যোজাত শিশু রয়েছে। মোট ১৩টি হাসপাতালের রয়েছে আরও অনেক নবজাতক। কিন্তু মজুত জ্বালানির সঞ্চয় ক্রমশ কমে আসার কারণে জেনারেটর কত দিন চালু রাখা যাবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’’