গলওয়ানে চিনের কত জন সেনা নিহত হয়েছেন, এখনও তা জানায়নি বেজিং। তাই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ।
কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকার ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের নামধামও প্রকাশ করেনি চিনের সরকার। এমনকি, সরকারি ভাবে জানানো হয়নি নিহতদের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ ক্ষোভ দানা বাঁধছে সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে। চিনা নেটাগরিকদের একাংশ সরাসরি শাসক কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকারের কণর্ধারদের নিশানা করে বলছেন, ‘‘কী ভাবে শহিদদের সম্মান করতে হয়, তা ভারতকে দেখে শিখুন।’’ কত জন সেনা নিহত, তাঁদের দেহ কোথায় রয়েছে, শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে কি না, সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
গালওয়ানে সংঘর্ষের ঘটনায় চিনা ফৌজের এক কমান্ডারের মৃত্যুর খবর গতকাল সেনাস্তরের বৈঠকে প্রথম কবুল করেছিল বেজিং। চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের দাবি, সংঘর্ষে ভারতের চেয়ে চিনের কম সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ১৫ জনের পরেই ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, পিপলস লিবারেশন আর্মির অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনার পাল্টা মারে নিহত চিন সেনার সংখ্যা অন্তত ৩৪।
চিনা নেটিজেনদের একাংশের দাবি, পিএলএ’র নিহত কমান্ডারের দেহ গোপনে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিহত অন্য সেনাদের বিষয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে চিনের একদলীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কী ভাবে গালওয়ানে শহিদ ২০ সেনার প্রতি সম্মান জানিয়েছে, সে কথাও উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায়। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-সহ কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের কাছে নয়াদিল্লিকে দেখে শিক্ষা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আরও পড়ুন: সেনা পিছতে রাজি চিন, কোর কমান্ডার বৈঠকে ‘পারস্পরিক ঐকমত্য’
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে সিকিমের নাথু লা এবং চো লায় এলএসি পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে চিনের প্রায় সাড়ে তিনশো সেনা মারা পড়েছিল বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়। কিন্তু বেজিংয়ের তরফে কখনোই নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: উত্তেজনার আবহেই বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-চিনের বিদেশমন্ত্রী, রয়েছে রাশিয়াও