Ebrahim Raisi

ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসির চপার ভেঙে পড়ল পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে, সঙ্গে ছিলেন এক মন্ত্রীও

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি আজ়ারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানটি আজ়ারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ২০:৫৩
Share:

ইব্রাহিম রইসি। —ফাইল চিত্র

পর্বতে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির চপার। ওই চপারেই ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় চপারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল বলেও জানিয়েছেন ওই সরকারি আধিকারিক। ওই সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, “আমরা এখনই হাল ছাড়ছি না। তবে যেখানে চপারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।”

Advertisement

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি আজ়ারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানটি আজ়ারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি। জায়গাটি ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে যে লব্জটি ব্যবহার করছে, তা হল ‘হার্ড ল্যান্ডিং’। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায় অবতরণের সময় বিপত্তি বা বিভ্রাট। স্থানীয় এক সরকারি আধিকারিক অবশ্য ‘ক্র্যাশ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তার পরেই যে প্রশ্নটি উঠছে, তা হল চপার ভেঙেই কি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং বিদেশমন্ত্রী?

ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, খুব দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইরান প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে রইসির চপার ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করতে বাধ্য হয়। রবিবার আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েঙের সঙ্গে আরস নদীর উপরে একটি বাঁধ উদ্বোধন করার কথা ছিল রইসির। যদিও পড়শি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। ২০২৩ সালে ইরানে আজ়ারবাইজানের দূতাবাসে বন্দুক নিয়ে হামলা চালানো হয়। তা ছাড়া আজ়ারবাইজানের ইজ়রায়েল-ঘনিষ্ঠতাকেও সন্দেহের চোখে দেখে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান।

Advertisement

ইরানের অধিকাংশ বিমান কিংবা হেলিকপ্টারই পুরনো আমলের। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি পশ্চিম এশিয়ার এই দেশের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় হেলিকপ্টার বা বিমানের আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয় ইরানকে। এমনকি, ইরানের সেনা যে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে, তা ১৯৭৯ সালে সে দেশে ইসলামিক বিপ্লবের আগেও ব্যবহৃত হত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement