শুক্রবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সে দেশেও এ বার বিক্রি করা যাবে গর্ভপাতের ওষুধ। ছবি: প্রতীকী
এ বার জাপানেও মিলবে গর্ভপাতের বড়ি। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই ওষুধ খাওয়ায় অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সে দেশেও এ বার বিক্রি করা যাবে গর্ভপাতের ওষুধ। এই ওষুধ খেয়েই প্রাথমিক স্তরে গর্ভপাত করাতে পারবেন মহিলারা। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে না।
এখন জাপানে ২২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভ্রূণের গর্ভপাত করাতে পারেন মহিলারা। তবে সঙ্গী বা স্বামীর সম্মতির প্রয়োজন হয়। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, লাইনফার্মা সংস্থার তৈরি ওষুধ খেয়ে মহিলারা গর্ভপাত করাতে পারবেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই অনুমোদনের জন্য এই ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা আবেদন জমা করেছিল। অবশেষে সেই আবেদনে স্বীকৃতি দিল জাপান।
সারা পৃথিবীতে ফ্রান্স প্রথম গর্ভপাতের বড়িকে অনুমোদন দেয়। সময়টা ছিল ১৯৮৮ সাল। আমেরিকায় ২০০০ সাল থেকেই এই বড়ি মেলে বাজারে। এ বার অনুমোদন দিল জাপান। গর্ভধারণের ন’সপ্তাহ পর্যন্ত এই বড়ি খেয়ে গর্ভপাত করাতে পারবেন মহিলারা। যদিও এই অনুমোদনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সংগঠন আবেদন করেছিল। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি প্যানেল সব বিচার করে এই বড়িকে ছাড় দিয়েছে।
সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই বড়ি খেয়ে গর্ভপাতের খরচ পড়বে এক লক্ষ ইয়েন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাতের খরচ এক লক্ষ থেকে দু’লক্ষ ইয়েন। জাপানে স্বাস্থ্য বিমা এই খরচ দেয় না। জাপানে আপৎকালীন গর্ভনিরোধক বড়ি আরও সহজলভ্য করার দাবিও উঠেছে। এখন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গর্ভনিরোধক বড়ি কেনা বা খাওয়া যায় না। জাপানে নিয়ম, ওষুধের দোকান থেকে এই বড়ি কিনে তা ফার্মাসিস্টের সামনেই খেতে হয়। কালোবাজারি রুখতেই এই পদক্ষেপ।