ফ্রিজ, রান্নাঘর, খাবার টেবিল, আলাদা শোওয়ার ঘর— সবই রয়েছে এই ‘বাড়ি’তে। আবার গড়গড় করে তা গড়িয়েও যেতে পারে মাইলের পর মাইল। এমন বাড়ি কী ভাবে সম্ভব?
এই প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলেছেন ড্রিউ সিমস। ড্রিউ ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলের বাসিন্দা।
২৪ বছরের এই ফ্রিল্যান্স চিত্রগ্রাহক এবং ছবিপ্রস্তুতকারক কয়েক বছর আগে আমেরিকার উটা ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই প্রথম স্বাধীন ভাবে বাঁচার অভিজ্ঞতা হয় তাঁর।
তখন থেকেই ঘুরে বেড়িয়ে জীবন কাটানোর ইচ্ছা চেপে বসে তাঁর মাথায়। সময়ের বাঁধন তাঁকে বাঁধতে পারবে না, কোনও পিছুটান তাঁর পথে অন্তরায় হবে না, এমনটাই চেয়েছিলেন ড্রিউ।
উটা থেকে ফিরে আসার পর থেকেই তাই এমন একটি গাড়ি চেয়েছিলেন যা তাঁর বাড়িও হবে।
ড্রিউয়ের একটি জিপ ছিল। কলেজের শেষ দু’বছর উপার্জন করে টাকা জমিয়ে সেই জিপটিকেই বদলে ফেলেন সুন্দর ছোট বাড়িতে।
গত ৩ বছর ধরে এই জিপই ড্রিউয়ের গাড়ি-বাড়ি। এতেই তিনি এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করেন আবার রাত হলে কিংবা ক্লান্ত হলে এতেই ঘুমিয়ে নেন।
রাস্তার মাঝে যদি খিদে পায়? সে ব্যবস্থাও রয়েছে গাড়িতে। জিপের পিছনের দরজা খুলে বানিয়ে নেওয়া যায় ছোটখাটো রান্নাঘর।
রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপাদান রয়েছে ওই ঘরে। রয়েছে একটি গ্রিলিং মেশিনও। খাবার যাতে খারাপ না হয় যায় তার জন্য ফ্রিজেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
২৫০ ঘণ্টা গাড়িটির উপরে কাজ করে তাকে ঘরের মতো বানিয়ে ফেলেছেন ড্রিউ। গাড়িটিকে এমন ভাবেই বানিয়েছেন যাতে যে কোনও আবহাওয়াতেই ঘরের শান্তি এবং নিরাপত্তা পান তিনি।
আপাত ভাবে সাধারণ গাড়ির মতোই দেখতে এটি। তবে গাড়ির ছাদ অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায় আলাদা ভাবে। সেই ছাদের নীচে বসে সকালের কফি উপভোগ করেন ড্রিউ।
আবার ক্লান্ত হয়ে পড়লে গাড়ির ছাদে তাঁবু খাটিয়ে শোওয়ার ঘর তৈরি করে নেন। মই দিয়ে তাতে উঠে কিছু ক্ষণ বিশ্রামও নিয়ে নেন।
গত ৩ বছর ধরে এই জিপ-বাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছেন মাইলের পর মাইল পথ। সম্প্রতি তাঁর জিপ-বাড়ির একটি ভিডিয়ো ইউটিউবের সঙ্গেও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।