আধুনিক ডিজাইনের সুন্দর সুন্দর কাঠের তাক। আর তাতে থরে থরে সাজানো হুইস্কির বোতল। তার কোনওটা ১০০ বছরের পুরনো, কোনওটা আবার তারও বেশি।
ভিয়েতনামের এই বাড়িতে ঢুকলে মনে হবে যেন কোনও দুর্মূল্য হুইস্কির দোকানে চলে এসেছেন। কিন্তু জানেন কি এটা কোনও লিকার শপ নয়, এক ব্যবসায়ীর বাড়ি!
ভিয়েতনামের ওই ব্যবসায়ীর নাম ভিয়েত নিগুয়েন দিনাহ তুয়ান। তাঁর বাড়ির প্রায় সবটা জুড়েই রয়েছে দুর্মূল্য হুইস্কির সংগ্রহ।
ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে তাঁর বাস। বাড়ির ভিতরের সমস্ত দেওয়ালেই কাঠের তাক বানানো রয়েছে। আর সেই তাক জুড়েই শোভা পাচ্ছে হুইস্কি।
তবে এই সব হুইস্কি বিক্রির জন্য নয়। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
বিশ্বের সমস্ত দামি হুইস্কি সংগ্রহ করার জন্য তিনি সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন। তাঁর সংগ্রহে কী কী রয়েছে জানলে আপনিও তাজ্জব হয়ে যাবেন।
মোট ১৬.৭৫ মিলিয়ন অর্থাত্ প্রায় ১২০ কোটি টাকার হুইস্কি সংগ্রহে রয়েছে তাঁর!
বিশ্বের অন্যতম সেরা ম্যাকালান ফাইন অ্যান্ড রেয়ার অ্যাসর্টমেন্ট রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। ১৯২৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই দুর্লভ হুইস্কি।
হুইস্কি সংগ্রহ করা তাঁর এতটাই নেশা যে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো ভিনটেজ স্প্রিংব্যাঙ্কের বোতলও।
১৯১৯ সালে ভিনটেজ স্প্রিংব্যাঙ্কের মাত্র ২৪টা বোতল তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে একটি তাঁর সংগ্রহে শোভা পাচ্ছে।
সম্প্রতি দুর্লভ এই হুইস্কির বোতল তিনি দু’কোটি টাকারও বেশি দামে কিনেছেন। এ ছাড়াও বোমোর-এর মতো দুর্লভ এবং বিশ্বের সবচেয়ে দামি হুইস্কি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কতগুলো হুইস্কির বোতল রয়েছে তাঁর সংগ্রহে? ভিয়েতনামি ওই ব্যবসায়ীর সংগ্রহে রয়েছে ৫৩৫টা হুইস্কির বোতল।
কী ভাবে তিনি এত দুর্লভ হুইস্কি সংগ্রহ করলেন? ভিয়েত নিগুয়েন জানাচ্ছেন, এটা তাঁর নেশা। তিনি ইন্টারনেটের সাহায্যে হুইস্কি নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেন।
খোঁজ রাখেন কোথায় দুর্লভ হুইস্কি নিলাম হওয়ার কথাবার্তা চলছে। খোঁজ পেলেই সেখানে চলে যান তিনি। যত টাকাই লাগুক না কেন, নিজের সংগ্রহশালার জন্য সেই হুইস্কি তিনি কিনে বাড়ি ফেরেন।