—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের স্কুলের নীচে রয়েছে সুড়ঙ্গ। এমনটাই দাবি করল ইজ়রায়েল সেনা। শনিবার দক্ষিণ গাজ়ার রাফা শহরে তাদের বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন প্যালেস্টাইনির।
ইজরায়েল বার বার দাবি করেছে, গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জ যে সাহায্য দিচ্ছে, তার অপব্যবহার করছে হামাস। এ বার তারা দাবি করল, গাজায় ইউএনআরডব্লুএ (ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি)-র সদর দফতরের নীচে রয়েছে কয়েক মিটার দীর্ঘ সেই সুড়ঙ্গ। সদর দফতরে একটি স্কুলও রয়েছে। এর আগে ইজ়রায়েলের তরফে এ-ও দাবি করা হয়েছিল যে, রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থানীয় অনেক কর্মী আসলে হামাস জঙ্গি।
শনিবারই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজ়া থেকে নাগরিকদের সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, এ বার সেখানে জঙ্গিদের খোঁজে স্থলপথে অভিযান চালাবে ইজ়রায়েল সেনা। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই দক্ষিণ গাজ়ার রাফা এলাকায় বিমান হামলা চালায় তারা। এতে মারা গিয়েছেন ৩১ জন। সংবাদ সংস্থা এপির দাবি, প্রতি তিন জন নিহতের মধ্যে একটি শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ায় চলছে হানা। ইজ়রায়েলি সেনার হামলার জেরে ইতিমধ্যে গাজ়া ছেড়ে পালিয়েছেন ২৩ লক্ষ নাগরিকের অর্ধেক। তাঁরা মিশরের দিকে পালানোর চেষ্টা করছেন। যাঁরা এখনও পড়ে রয়েছেন গাজ়ায়, তাঁরা অস্থায়ী তাঁবু বা রাষ্ট্রপুঞ্জের শিবিরে বসবাস করছেন। গত অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইজ়রায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন ১,২০০ জন। ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৩০ জন এখনও হামাসের কাছে বন্দি। মনে করা হচ্ছে ওই পণবন্দিদের মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবারই লেবাননে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে বিমানহানা চালায় ইজ়রায়েল। হামাসের জঙ্গি ভেবে হামলা চালিয়েছিল তারা। যদিও সেই ব্যক্তির কিছু হয়নি। হামলায় নিহত হয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে এক জন হামাসের সহযোগী হিজবোল্লা গোষ্ঠীর সদস্য। এই হিজবোল্লাকে সমর্থন করে ইরানও।
এর মধ্যেই উত্তপ্ত ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভ। হামাসের হাতে পণবন্দিদের মুক্তি এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে পথে নেমেছেন বহু মানুষ। আয়ালন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। রাস্তায় আগুনও জ্বালান। কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।