চার ইজ়রায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। ছবি: সংগৃহীত।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা আরও চার ইজ়রায়েলিকে মুক্তি দিল প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শনিবার সকালেই হামাস চার তরুণীর নামের তালিকা প্রকাশ করে। তাঁরা সকলেই ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজ়া সীমান্তের কাছে কর্তব্যরত চার তরুণী বন্দি হন।
শনিবার বিকেলে ওই ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাঁদের নাম লিরি আলবাগ (১৯), কারিনা আরিয়েভ (২০), ড্যানিয়েলা গিলবোয়া (২০) এবং নামা লেভি (২০)। গাজ়া সীমান্তের কাছে নাহাল ওজ় সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত অবস্থাতেই তাঁদের অপহরণ করেছিল হামাস। অপহরণের ভিডিয়োও করা হয়েছিল। শুধু ওই চার জনই নয়, পাশাপাশি আরও তিন মহিলাকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ ইজ়রায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। আর এক জনকে আগেই মুক্তি দিয়েছে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তবে তৃতীয় জন এখনও হামাসের হাতেই বন্দি। তিনি জীবিত কি না, তা-ও অজানা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১২০০ জনের। ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়। এর পরেই গাজ়ায় হামাসের বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। মৃত্যু হয় অন্তত ৪৭ হাজার প্যালেস্টাইনির। তার পর থেকে দু’পক্ষই হামলা, পাল্টা হামলা চালিয়েছে। শেষমেশ কাতারের মধ্যস্থতায়, আমেরিকা এবং মিশরের চেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল এবং হামাস। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া। গত ১৫ জানুয়ারি ৪৭১ দিন পর হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইজ়রায়েলের তিন বাসিন্দা। বন্দিদশা কাটিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সেই ইজ়রায়েলিদের হাতে ‘উপহার’ও তুলে দিয়েছে হামাস।