জার্মান ট্যাটু শিল্পী শানি লুক (বাঁ দিকে)। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এক জার্মান মহিলার ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ নিয়ে ইজ়রায়েলের রাস্তায় ঘোরাল হামাস জঙ্গিরা। যদিও হামাস দাবি করেছে, ওই মহিলা ইজ়রায়েলি সেনার সদস্য। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। মহিলার দেহ একটি পিকআপ ভ্যানে রাখা ছিল। জঙ্গিদের সেই গাড়ির পিছু নিয়েছিল এক দল মানুষ। তাঁরা চিৎকার করছিলেন। ইজ়রায়েলের উদ্দেশে গালিগালাজ করছিলেন। পিক আপ ভ্যানে শুইয়ে রাখা মহিলার দেহে আবার ঘৃণাভরে থুতুও ছেটাচ্ছিলেন তাঁরা।
ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে বলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছে। অনেককে নির্বিচারে গুলি করে মারা হয়েছে। ইজ়রায়েলের সেরোট শহরের অবস্থা ভয়ানক। গাজ়া সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ ইজ়রায়েলের এই শহর থেকে অনেক মানুষকে বন্দি বানিয়ে গাজ়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তার মধ্যেই এই তরুণীর ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হামাস জঙ্গিরা ওই মহিলাকে ইজ়রায়েলি সেনা বলে দাবি করলেও, ভিডিয়ো দেখে মহিলাকে চিহ্নিত করেন জার্মানির এক মহিলা। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী এক্স হ্যান্ডলে ওই মহিলা লেখেন, “যে মহিলার ছবি প্রকাশ করে ইজ়রায়েলি সেনা বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনি আসলে এক জন জার্মানি। আমি তাঁর দিদি।” আদি লুক নামে ওই মহিলা দাবি করেন, তাঁর বোন শানি লুককে হত্যা করা হয়েছে। আর ওই দেহ তাঁর বোনেরই। তিনি এক জন ট্যাটু শিল্পী।
শানির এক তুতো বোন দাবি করেছেন, ইজ়রায়েলে শনিবার যে উৎসব চলছিল সেখানে গিয়েছিলেন শানি। ওই দিনই হামাস হামলা চালায় ইজ়রায়েলে। হামাস জঙ্গিরা তাঁর বোনকে খুন করেছেন বলেও দাবি করেন শানির বোন।