Israel-Hamas Conflict

গাজ়া শহরের দোরগোড়ায় সেনা! দাবি ইজ়রায়েলের, রকেট হামলায় মৃত্যু ১৯৫ প্যালেস্তিনীয়ের: হামাস

মঙ্গলবার গাজ়ার শরণার্থী শিবিরে ইজ়রায়েলের রকেট হামলায় ১৯৫ জন প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি হামাসের। ইজ়রায়েলের অবশ্য দাবি, প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠনটির ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৬
Share:

ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।

হামাস-ইজ়রায়েল সংঘাতে নয়া মোড়। ইজ়রায়েলের দাবি, গাজ়া ভূখণ্ডের প্রাণকেন্দ্র গাজ়া শহরের দখল নিতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই নাকি ইজ়রায়েলি সেনা গাজ়া শহরের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার গাজ়ার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়ায় ইজ়রায়েল যে রকেট হামলা চালিয়েছিল, তাতে ১৯৫ জন প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। এই প্রসঙ্গে অবশ্য ইজ়রায়েলের দাবি, প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠনটির ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।

Advertisement

ইজ়রায়েল এ-ও দাবি করেছে যে, তাদের হামলায় হামাসের দুই কম্যান্ডার নিহত হয়েছেন। যদিও হামাসের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইজ়রায়েলি সেনা আইডিএফ-এর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বুধবার দাবি করেছেন, গাজ়ায় স্থলপথে হামলা চালানোর বিষয়ে তারা যে পরিকল্পনা করেছিলেন, সেই পরিকল্পনা অনুসারেই সবটা এগোচ্ছে।

অন্য দিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজ়ার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শরণার্থী শিবিরে ইজ়রায়েলি হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২০ জন নিখোঁজ। ৭৭৭ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনীয় আহত। অনেকেই ধ্বংস্তস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবারই গাজ়ার দক্ষিণাংশ থেকে রাফা সীমান্ত ধরে বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিক মিশরে গিয়েছেন। অসুস্থদের এবং হামলায় আহতদেরও অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু দিন রাফা সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল মিশর। মিশর প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল যে, সীমান্তের দরজা খুলে দেওয়া হলে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্যেরা ইজ়রায়েলি হানা থেকে রক্ষা পেতে তাদের দেশে এসে আশ্রয় নেবেন। পরে যদিও গাজ়ায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য নিয়ন্ত্রিত ভাবে সীমান্তের দরজা খুলেছিল মিশর। বুধবার মানুষের যাতাযাতের জন্যও সীমিত ভাবে রাফা সীমান্ত খুলল নীলনদের দেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement