গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
কাজের জন্য যাঁরা এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে চান, সেই ভারতীয়দের উদ্বেগ হয়তো এ বার কিছুটা হলেও কমবে। মার্কিন বিদেশ দফতরের তরফে জানানো হল, নিয়ম-নীতি কড়া করে এইচ-ওয়ানবি ভিসার সংখ্যা কমানোর কোনও ভাবনা নেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের।
বছরে এখন প্রায় ৮৫ হাজার এইচ-ওয়ানবি ভিসা দেয় আমেরিকা। ওই ভিসা ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও দেশের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট উর্ধ্বসীমা না থাকলেও, গত এক দশকের পরিসংখ্যান বলছে, বছরে যত এইচ-ওয়ানবি ভিসা ইস্যু করে মার্কিন প্রশাসন, তার ৭০ শতাংশই পান ভারতীয়রা। ওই ভিসা নিয়ে মার্কিন বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজ করতে যান ভারতীয়রা।
এইচ-ওয়ানবি ছাড়াও ফিবছর আরও নানা ধরনের ভিসা ইস্যু করে মার্কিন প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের দুই প্রবীণ কর্তা বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা গত সপ্তাহেই জেনেছেন, বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য সব রকমের ভিসার সংখ্যা কমাতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। বছরে যত এইচ-ওয়ানবি ভিসা ইস্যু করা হয় ভারতীয়দের জন্য সেই ভিসা পাওয়ার সুযোগটা ১০ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাইছে আমেরিকা। আর বিদেশি নাগরিকদের জন্য বছরে যত রকমের ভিসা ইস্যু হয় আমেরিকায়, তার ১৫ শতাংশ ভারতীয়দের জন্য বরাদ্দ করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন- দেশপিছু মার্কিন গ্রিন কার্ডের সংখ্যা বাড়বে? বিল পেশ কংগ্রেসে
আরও পড়ুন- এইচ-ওয়ানবি ভিসা যাঁরা পান, তাঁদের কম বেতনে কাজ করতে হয়, বলছে রিপোর্ট
রয়টার্সের ওই খবরের উল্লেখ করে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা ঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে ওই ভিসা নিয়ে আমাদের যে কথাবার্তা চলছে তা একেবারেই ভিন্ন। যে দেশগুলির দক্ষ কর্মীদের থেকে আমরা উপকৃত হই, সেই দেশগুলির ক্ষেত্রে এইচ-ওয়ানবি ভিসার সংখ্যা কমানো বা তা পাওয়ার নিয়মকানুন কঠোর করার কোনও চিন্তাভাবনা নেই ট্রাম্প প্রশাসনের।’’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান (মার্কিনদের কেনো, মার্কিনদের ভাড়া কোর)’ নীতি কোনও নির্দিষ্ট দেশের ক্ষেত্রে বলবৎ হবে না বলেও জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের ওই মুখপাত্র।
কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘এইচ-ওয়ানবি ভিসার সুযোগসুবিধা ভারতীয়দের জন্য কাটছাঁট করা হচ্ছে, আমরা এমন কিছু এখনও পর্যন্ত আমেরিকার কাছ থেকে সরকারি ভাবে শুনিনি।’’