কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: এএফপি
বইমেলা চলাকালীন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ল জঙ্গিরা। সোমবার বিকেেল এই হামলার জেরে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। জখমের সংখ্যা অন্তত ২২ বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও হামলাকারী এবং বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই চলছে।
সোমবার আফগান-ইরানিয়ান বইমেলা চলছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু অতিথি। ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানাচ্ছে, সে দেশের প্রায় ৪০ জন প্রকাশক ওই বইমেলায় যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় আচমকা শোনা যায় গুলির শব্দ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৩ বন্দুকবাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার জেরে হতাহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পড়ুয়া রয়েছেন। হামলার পর পরই ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁরা পড়ুয়া এবং অন্যান্যদের বাইরে বের করে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ দিন সন্ধ্যায় আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও গুলির লড়াই চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। তাঁর মতে, হেলমন্দের তালিবান ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলায় বিপর্যস্ত হওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তবে আফগান তালিবান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই নাশকতায় তারা জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট আমেরিকায়, এগিয়ে বাইডেন॥ সমীক্ষা ‘ভুয়ো’, পাল্টা ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত রেল প্রকল্প ঘোষণা চিনের, নজর রাখছে দিল্লি
কাবুলে জঙ্গি নাশকতার তালিকা দীর্ঘ। ২০১৬ সালে কাবুলে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে হানাদারদের গুলিতে ১৩ জন নিহত হন। গত বছর কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বোমা বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয় ৮ জনের। এ দিনের হামলার দায় স্বীকার করেনি আল কায়দা, আইএস-সহ কোনও জঙ্গি সংগঠনই।