বক্তা: রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: রয়টার্স।
‘ফাঁকা বুলি দিয়ে তোমরা আমার স্বপ্ন কেড়েছ, আমার শৈশবটাই কেড়ে নিয়েছ।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ ভাবেই রাষ্ট্রনেতাদের ‘তিরস্কার’ করল সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতাদের নিস্পৃহ আচরণের প্রতিবাদে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই কিশোরী। তার দেখানো পথে হেঁটে ‘পরিবেশের জন্য শুক্রবার’ নামের এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পডুয়া। প্রাপ্তবয়স্কদের সচেতন করতে তারা প্রতি শুক্রবার স্কুলে না-গিয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল-সমাবেশ করে।
সেই প্রসঙ্গটিই আজ তার বক্তৃতায় তুলে এনেছে গ্রেটা। বলেছে, ‘‘আমার আজ এখানে থাকার কথা নয়। মহাসাগরের ও-পারের একটা দেশে স্কুলে বসে পড়াশোনা করার কথা। আমার সেই শৈশব ফাঁকা বুলি দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে আজ আমার কথা শুনতে এসেছ তোমরা। ভাবছ, আমাদের প্রজন্ম তোমাদের দিশা দেখাবে? এত দুঃসাহস তোমাদের হয় কী করে!’’
‘অ্যাসপারগার সিন্ড্রোম’ নামে বিরল মনোরোগে আক্রান্ত গ্রেটা চিরকালই স্পষ্ট বক্তা বলে পরিচিত। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলার সময়েও আজ সে কোনও ‘মেকি’ সৌজন্য দেখায়নি। কী ভাবে ‘প্রাপ্তবয়স্করা’ পরিবেশের বিশাল ক্ষতি করে চলেছে, কেমন করে রাষ্ট্রনেতারা ‘কথা রাখেননি’, তার খতিয়ান দেয় সে। বলে, ‘‘পরিবেশ রক্ষা করতে বারবার নানা সময়সূচি ঠিক করেছ তোমরা। আবার তোমরাই সেই সময়সূচি মানোনি। শুধুই আর্থিক বিকাশ নিয়ে কথা বলে গিয়েছ। ফলে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’ রূঢ় স্বরে সে বারবার একই কথা বলতে থাকে— ‘‘তোমাদের এত দুঃসাহস হয় কী করে!’’ গ্রেটার সাবধানবাণী— ‘‘এখনও যদি কিছু না কর, আমরা কিন্তু তোমাদের ক্ষমা করব না। কখনওই না।’’