Wildfire

Greece Wildfire: ‘মনে হচ্ছে ভয়ের ছবি দেখছি যেন’

পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়ালেও গ্রিসের নানা প্রান্তে এখন দমকলকর্মীর আকাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আথেন্স (গ্রিস) শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৬:০৮
Share:

দাবানলে বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণীরাও। আথেন্সের উত্তরাংশের দাবানলে আহত একটি সারসের শুশ্রূষা করছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট। ছবি: রয়টার্স

আগুনের গ্রাসে পুড়ে খাক বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে উদ্ধারকারী নৌকায় উঠছিলেন অন্তঃসত্ত্বা মিনা। বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে কোনও ভয়ের ছবি দেখছি যেন। কিন্তু এটা ঘোর বাস্তব। গত ছ’দিন ধরে যার মধ্যে আমরা রয়েছি।’’ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি গ্রিসের দাবানলের একটা বড় অংশ। উল্টে চিন্তা বাড়াচ্ছে ইভিয়া দ্বীপের আগুন। গত ৩ অগস্ট থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওই দ্বীপে আগুন ছড়াতে শুরু করেছিল। ইভিয়ার পেফকি এলাকার বাসিন্দা মিনার মতোই হাজার হাজার মানুষকে গত কাল থেকে সরাতে শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

ইতিমধ্যেই ইভিয়া দ্বীপের অন্তর্গত পাঁচটি গ্রাম পু়ড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। একরের পর একর বনাঞ্চলও আগুনের গ্রাসে। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এই অবস্থায় আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে হেলিকপ্টার আর জল বয়ে আনা বিমানগুলি। ইভিয়ার আকাশের রং গত কয়েক দিন ধরেই গাঢ় কমলা। ঘন ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়াও কষ্টকর। আগুনের সঙ্গে লড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন একের পর এক দমকলকর্মী।

পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়ালেও গ্রিসের নানা প্রান্তে এখন দমকলকর্মীর আকাল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করছে ইজ়রায়েল, ফ্রান্স, মিশর, সুইৎজ়ারল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেনের মতো দেশ। কেউ হেলিকপ্টার আর বিমান, কেউ আবার দমকলকর্মী পাঠিয়ে সাহায্যের চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী দলের কয়েক জন এর মধ্যেই আগুনের তাপে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

প্রশাসন দমকলকর্মী আর উদ্ধারকারী দলের কাজের দরাজ প্রশংসা করলেও দেশের সাধারণ মানুষের একাংশ ক্ষুব্ধ। কোনও এলাকায় গত কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎ নেই। পানীয় জলও মিলছে না এই প্রবল গরমে। সমুদ্র তীরবর্তী পেফকির আর এক বাসিন্দা ডেভিড অ্যাঞ্জেলিউ বললেন, ‘‘আমাদের কথা কেউ ভাবছেই না। কোথাও কোনও দমকলকর্মীর দেখা নেই। চারদিকে শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দিকেও তাকানো যাচ্ছে না।’’ এই পরিস্থিতিতে আজ বিদেশমন্ত্রী নিকোস ডেনডিয়াস টুইট করে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সরকারের কাছ থেকে আরও একটি বিমান চাওয়া হয়েছে।

তবে একটু হলেও উন্নতি হচ্ছে পড়শি দেশ তুরস্কের পরিস্থিতি। কৃষি ও বনমন্ত্রী বেকির পাকদেমিরলির কথায়, ‘‘এখনই পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছি খুব শীঘ্রই। দাবানল ছড়িয়েছে ইটালির দক্ষিণাংশের বেশ কিছু প্রদেশেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement