ছবি সংগৃহীত।
করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ’ তৈরি করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির দাবি, আশপাশে সংক্রমিত কেউ থাকলে গ্রাহক সেই তথ্য ও সতর্কবার্তা ফোনেই পেয়ে যাবেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যের জন্য গুগল এবং অ্যাপলের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল সংস্থাগুলি। কিন্তু সোমবার গুগল ও অ্যাপল জানিয়ে দিয়েছে, অ্যাপ প্রস্তুত সংস্থাগুলির হাতে জিপিএস তথ্য বা ‘লোকেশন ট্র্যাকিং’ পরিষেবা তারা তুলে দেবে না।
গোপনীয়তা রক্ষা এবং নাগরিকদের উপরে রাষ্ট্রের ইচ্ছে মতো নজরদারি এড়াতেই এই পদক্ষেপ বলে তারা জানিয়েছে।
তবে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। সে ক্ষেত্রে প্রতি দেশের এই ধরনের একটি মাত্র সংস্থাকে জিপিএস তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দেবে অ্যাপল ও গুগল। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, করোনা-আক্রান্তদের নিয়ে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। যা কেবলমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আটকে পড়া প্রবাসীদের ফেরাতে বিপুল আয়োজন, আমিরশাহিতেই আবেদন ২ লক্ষের
কোভিড মোকাবিলায় তৈরি অন্য অ্যাপগুলিকে জিপিএস-এর পরিবর্তে ব্লু-টুথ প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে অ্যাপল-গুগল।
কিন্তু তাতেও সমস্যা আছে। বেশির ভাগ স্মার্টফোনই হয় অ্যাপল বা গুগল প্রযুক্তিতে তৈরি। সে ক্ষেত্রে ব্লু-টুথ সবসময় অন থাকলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেবে। ব্যাটারির উপরে চাপ পড়বে। যদিও আমেরিকা ও কানাডার কয়েকটি অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থা জানাচ্ছে, তাদের অ্যাপে জিপিএস ও ব্লু-টুথ দু’ভাবেই ‘লোকেশন ট্র্যাক’ করার ব্যবস্থা রয়েছে। যখন যেমন পরিষেবা মিলবে, সেইমতে ব্যবহার করা যাবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)