ই-বে থেকে তিরিশ হাজার ডলারে ইরাকের পুরনো সেনা ট্যাঙ্ক কিনেছিলেন ব্রিটেনের নিক মিড। শখ ছিল সেনাবাহিনীর জিনিসপত্র সংগ্রহ করা। সংগ্রহে রয়েছে ১৫০টি সামরিক গাড়িও।
চিনে তৈরি এই টি-৫৪ ট্যাঙ্ক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন জো হিউস নামে এক ব্যক্তি। এর আগে নিজেও তিনি ট্যাঙ্কটি কেনেন। মেরামতও করেন। কিন্তু ভিতরে কী আছে দেখেননি।
সামরিক ট্যাঙ্ক কিনে মিড ডেকে নেন এক মেকানিককে। ভেবেছিলেন, পুরনো বন্দুক থাকতে পারে ট্যাঙ্কের ভিতর। কিন্তু সামরিক ট্যাঙ্ক থেকে যা বেরিয়েছিল, জানলে চমকে যাবেন।
ট্যাঙ্কের ডিজেল রাখার জায়গা থেকে বেরোল রাশি রাশি সোনার বার। সব মিলিয়ে যার মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৪ কোটি টাকারও বেশি। প্রতীকী ছবি। শাটারস্টক।
ঘটনাটি অবশ্য ২০১৭ এপ্রিলের। নর্দাম্পটনশায়ারে এই ট্যাঙ্ক খুলে দেখার সময় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে রাখেন মিড।
১৯৯০ সালের ৬ অগস্ট উপসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা হয়। ইরাকের সেনা প্রবেশ করে কুয়েতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব সম্ভবত সেই যুদ্ধে ব্যবহৃত সেনা ট্যাঙ্ক এটি।
নব্বইয়ের দশকে কুয়েত থেকে লুঠ করে আনা হয়েছিল রাশি রাশি সোনা। ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া এই সোনা সাদ্দাম হুসেনের আমলের বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে সোনার বারগুলিকে লন্ডনের একটি সেফটি বক্সে রেখে দেয়। খবর যায় কুয়েতে। শুরু হয় তদন্ত।
যাঁর থেকে ট্যাঙ্ক কেনা হয়েছিল, তিনি বলেন, সামান্য ভাগ পেলেই খুশি। তবে মিডদের কাছেও এই সোনার বারগুলি থাকার সম্ভাবনা কম।
সোনার বারগুলির মালিকানা দাবি করে, এক ব্রিটিশ সেনা অফিসার নাকি ফোন করে হুমকিও দিয়েছেন মিডকে।
তবে গুপ্তধন আবিষ্কার করতে পেরে মিড আর চেম্বারলিন বেশ খুশি।