—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলে পিস্তল নিয়ে গিয়ে সহপাঠীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাল কিশোরী। তার গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও পাঁচ জন আহত। সহপাঠীদের মেরে কিশোরী নিজের মাথাতেও গুলি চালায়। বুলেটে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে তার শরীর।
ঘটনাটি রাশিয়ার ব্রিয়াস্ক শহরের। সেখানেই একটি স্কুলে ১৪ বছরের ছাত্রী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তার গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে ক্লাসের মধ্যেই। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রাশিয়ার পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, বাড়ি থেকে পিস্তলটি এনেছিল কিশোরী। পিস্তলটি তার বাবার নামে নথিভুক্ত। কেন সহপাঠীদের এ ভাবে সে আক্রমণ করল, তা স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনও কারণে বচসা হয়েছিল। সেই রাগ থেকেই পিস্তলে গুলি ভরে স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল কিশোরী। বাকিদের মারা হয়ে গেলে কিশোরী নিজেকেও শেষ করে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর কাছ থেকে যে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি পাম্প অ্যাকশন শটগান। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কী ভাবে সে স্কুলে ঢুকল, কী ভাবে ক্লাসের মধ্যে এক ছাত্রী অন্যদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাল, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। স্কুলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকায় হামেশাই বন্দুকবাজের হানায় এক বা একাধিক মৃত্যুর ঘটনা শোনা যায়। কিন্তু রাশিয়াতে এমন বন্দুকবাজের হানা বেশ বিরল।