প্রজ্ঞা ওরফে মোহনা
জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি-র নারী বাহিনীর এক সদস্যকে গ্রেফতার করার পরে জেরা করে অবাক বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম নামের বছর ২৫-এর এই তরুণী জানিয়েছে, আদতে সে ভারতীয়। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার পশ্চিম কেশবপুর গ্রামে বাড়ি। জন্মসূত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, নাম ছিল প্রজ্ঞা দেবনাথ। এলাকার এক বন্ধুর প্রভাবে ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ে ধর্মান্তরিত হয়। অনলাইনে তার সঙ্গে আলাপ হয় জেএমবি-র নারী শাখার প্রধান আসমানি খাতুন আসমার। তার পরে সে-ও জেএমবি-তে নাম লেখায়।
বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এর পরে সে কখনও ঢাকা, কখনও পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সংগঠনের চাঁদা তুলে বাংলাদেশ নিয়ে আসত। ওমান প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে সে টেলিফোনে বিয়ে করেছে বলেও জানিয়েছে। ভুয়ো নথি দিয়ে বাংলাদেশে নাগরিক পরিচয়পত্রও তৈরি করে। শুক্রবারই ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্তার দাবি, সংগঠনে মোহনা হয়তো খুব বড় মাপের জঙ্গি ছিল না, কিন্তু হিন্দু ভারতীয় নাগরিক ধর্ম পরিবর্তন করে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে— এমন ঘটনা তাঁরা আগে দেখেননি। ধরা পড়ার পরেও এতটুকু ঘাবড়াতে দেখা যায়নি এই নারী জঙ্গিকে। পুলিশের সব প্রশ্নের জবাব সে ঠান্ডা মাথায় দিয়েছে। কী ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে অবলীলায় সে দু’দেশে যাতায়াত করত, তার বিবরণও জানিয়েছে। দুই বাংলার মাদ্রাসাগুলিতে সে আশ্রয় নিত। পুলিশ জানিয়েছে, তার প্রবাসী স্বামীও জঙ্গি সংগঠনটিকে মোটা টাকা দেয় বলে তাঁরা জেনেছেন।