জার্মান বিদেশমন্ত্রী হিকো মাস। —ছবি সংগৃহীত।
প্রথম থেকেই চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছিল ইউরোপীয় দেশগুলি। যার অগ্রণী ভূমিকায় ছিল জার্মানি। সেই রেশ টেনেই এ বার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথা জানাল বার্লিন। একই সঙ্গে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি তাদের উপরে এশীয় দেশগুলির একপেশে আর্থিক নির্ভরতা প্রসঙ্গেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। ‘আইনের শাসন বজায় রাখতেই’ তাদের এই অবস্থান বলে জানিয়েছে জার্মানি। চিনের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে এই অবস্থান ভারতের পক্ষে সুখবর বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
বিশ্বের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি আইনের শাসন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা— এই বিষয়গুলির উপর জোর দিতেই গণতন্ত্র এবং উদার মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা গত ২ সেপ্টেম্বরই জানিয়েছিলেন জার্মান বিদেশমন্ত্রী হিকো মাস।
ওই দিনই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো প্রসঙ্গে নয়া রূপরেখা গ্রহণ করেছিল জার্মান সরকার। যেখানে ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে আইনের শাসন বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি জামার্নির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলিও।