ছবি: রয়টার্স
বন্যায় একেবারে বিপর্যস্ত জার্মানির একাংশ। চোখের নিমেষে ভেসে গেল সব। বাড়ি, অফিস, গাড়ি। ১৫ মিনিটের মধ্যে জলের তোড়ে ভাসল এত দিনের সাজিয়ে তোলা শহর।
দেশের রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট প্রদেশের অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। শুক্রবারই খবর পাওয়া গিয়েছিল, বন্যায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে হল ১৩৩। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ভয়ানক বান কেউ কোনওদিন দেখেছে বলে মনে করতে পারছে না।
পেশায় স্থপতি আর্গন বেরিশা বলেন, ‘‘গোটা শহরটা মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে জলের তলায় চলে যায়। আমাদের বাড়ি, গাড়ি, আমার অফিস, সব।’’ জলের তোড়ের দাপট এখনও সর্বত্র স্পষ্ট। কোথাও গাড়ি উল্টে পড়ে আছে, কোথাও আবার উল্টে আছে গাছ। প্রদেশের কোনও কোনও জেলা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা দেশের থেকে।
পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে টানা বৃষ্টির দাপটেই এই হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। ইতিমধ্যে জার্মানির প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ঘটনার পর জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেনমেইরার জানিয়েছেন, তিনি হতবাক। পাশাপাশি, মৃত ও সর্বস্ব খোয়ানো মানুষদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন।
কেউই যেন বুঝে উঠতে পারছেন না, ঠিক কোথা থেকে এই বিপুল জলরাশি তেড়ে এল শহরের দিকে। স্থানীয় বাসিন্দা আনেমেরি মুলেয়ারের কথায়, ‘‘কোথা থেকে এত জল এল বুঝতেই পারছি না। ভয়ানক! গর্জনের মতো শব্দ হচ্ছিল। যেন জল তেড়ে আসছিল শহরের মধ্যে।’’