ছবি: রয়টার্স।
করোনাভাইরাসের নতুন রূপটির সংক্রমণ নিয়ে জার্মানিকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে বলে আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তাঁর বক্তব্য, দৈনিক সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমলেও দৈনিক মৃত্যুর হার এখনও ‘বিপজ্জনক ভাবে বেশি।’ এই সপ্তাহের গোড়াতেই নতুন করে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন জারি করেছে দেশটি। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও সংস্থাগুলিকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, একশো দিনে করোনাভাইরাসের ১০ কোটি প্রতিষেধক দেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন, তার জন্য তারা পর্যাপ্ত প্রতিষেধক সরবরাহ করতে পারবে বলে মনে করছেন হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস সমন্বয়ক জেফ জায়েন্স। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় নেতা ও গভর্নরদের থেকে বারবার শুনছি কত প্রতিষেধক আসবে সে সম্পর্কে তাদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। সরবরাহ বাড়ানো ও তথ্য আদানপ্রদান করা নিয়ে আমাদের সমন্বয় বাড়াতে হবে। এবং আমরা সেটা করব।’’ বাইডেনের দফতর সূত্রের ইঙ্গিত, হোয়াইট হাউসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চান প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, কোভিড সংক্রমণ রুখতে নববর্ষের আগে দেশের ভিতরে বিমান চলাচলে নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করল চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। ফলে উৎসবের আগে বাড়ি ফিরতে বিপাকে পড়লেন হাজার হাজার চিনা অভিবাসী শ্রমিক। কমিশন জানিয়েছে, কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে না পারলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে না ওই শ্রমিকদের। আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ও মাঝারি ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের একসঙ্গে সফর করার বিষয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে।
সংক্রমণের মাত্রা বাড়ায় বুধবার থেকে নিজের এলাকার বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বেজিংয়ের দাসিং জেলায়। একটি নোটিস জারি করে বলা হয়েছে, দাসিং থেকে অন্যত্র যাওয়ার আগে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরবর্তী নোটিস পাওয়ার আগে এলাকার ২৪ হাজার বাসিন্দাকে বাড়িতে থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।