হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে রেখেছিলেন পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। —ফাইল চিত্র।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার শুনানিতে পুলিশের তরফেই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল বলে জানালেন লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের সার্জেন্ট জোডি স্টিগার। গত বছর মে মাসে মিনিয়াপলিসে কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের হ্ত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল হয়েছিল আমেরিকা। যে ভাবে পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু চেপে ধরেছিলেন এবং ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ বলে ছটফট করতে করতে ফ্লয়েড মারা যান, তার অভিঘাতে জন্ম নেয় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন।
পুলিশ কতটা বলপ্রয়োগ করতে পারে, সেই আইন বিষয়ে জোডি স্টিগারকে একজন বিশেষজ্ঞ মানা হয়। বুধবার ফ্লয়েড মামলার শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি সরাসরি শভিনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, ফ্লয়েডকে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়ার পরে তাঁর গলায় হাঁটু চেপে ধরার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। পুলিশি প্রশিক্ষণে এ ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয় না। অন্য দিকে, শভিনের দাবি, তিনি আইন ভাঙেননি। প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত শিক্ষাই কার্যকর করেছেন।
স্টিগার একের পর এক ছবি দেখিয়ে আদালতে বলেছেন, শভিন মাত্রাতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগ করেছেন। ফ্লয়েড যে পুলিশকে তার কাজে খুব একটা বাধা দিয়েছিলেন, তা-ও নয়। ‘‘আমার মতে, শভিনের দেহের চাপ যে ভাবে ফ্লয়েডের উপরে পড়েছিল, তা থেকে মৃত্যু হতেই পারে।’’
আদালতে শভিনের বিরুদ্ধে খুন এবং তাঁর সহযোগী তিন অফিসারের বিরুদ্ধে খুনে মদত দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে। ফ্লয়েড সম্পর্কে স্টিগারের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তাঁকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল। তিনি প্রতিরোধ করার সময়ে কোনও অফিসারকে আক্রমণ করার চেষ্টাও করেননি।’’ শভিনের আইনজীবী স্টিগারকে প্রশ্ন করেন, একটা ঘটমান সময়ে পুলিশকে কি অনেকগুলো দিক মাথায় রাখতে হয় না? স্টিগার একমত হয়ে উত্তর দেন, ‘‘অবশ্যই হয়। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কতটা বলপ্রয়োগ করা হবে, তার মাপও থাকা দরকার।’’