মানবতার শিক্ষক যিশু, নিলামে গাঁধীর চিঠি

ইংরেজিতে টাইপ করা একটা চিঠি। নীচে ডান দিকে নীল কালিতে সই ‘এম কে গাঁধী’। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর লেখা অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ চিঠির অন্যতম এই চিঠিটি নিলামে উঠতে চলেছে খুব শিগগির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ০২:২৯
Share:

ইংরেজিতে টাইপ করা একটা চিঠি। নীচে ডান দিকে নীল কালিতে সই ‘এম কে গাঁধী’। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর লেখা অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ চিঠির অন্যতম এই চিঠিটি নিলামে উঠতে চলেছে খুব শিগগির। ঐতিহাসিক নথি সংগ্রাহক সংস্থা রাব কালেকশন দাবি করেছে, গাঁধীর লেখা এই ধরনের চিঠি আগে কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। চিঠিটির কমপক্ষে ৫০ হাজার ডলার দর উঠবে বলে আশাবাদী সংগ্রাহক সংস্থার প্রধান নাথান রাব।

Advertisement

সালটা ১৯২৬। ৬ এপ্রিল গুজরাতের সাবরমতী আশ্রম থেকে আমেরিকার এক গির্জার ধর্মীয় গুরু মিলটন নিউবেরি ফ্রান্‌ৎজকে চিঠিটি লিখেছিলেন গাঁধী। বিষয়বস্তু ছিল, যিশুর অস্তিত্ব নিয়ে তাঁর ভাবনা। মিলটন প্রথমে চিঠি দিয়ে যিশু ও খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে গাঁধীর ভাবনা জানতে চেয়েছিলেন। গাঁধী লেখেন, ‘‘প্রিয় বন্ধু, আমার মতে যিশু ছিলেন মানবতাবাদের অন্যতম মহান এক শিক্ষক। কিন্তু তার বেশি কিছু ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তোমার কি মনে হয় না, ধর্মীয় একতার লক্ষ্যে আমাদের যেটা উচিত, তা হল যান্ত্রিক ভাবে কোনও একটি ধর্মবিশ্বাসকে চাপিয়ে না দিয়ে সকলের ধর্মবিশ্বাসকে সমান সম্মান দেওয়া?’’

রাবের বক্তব্য, ‘‘যিশুকে মানবতাবাদের শিক্ষক আখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিজের একাত্মবোধকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন গাঁধী।’’ গাঁধী আরও লিখেছেন, ‘‘ধর্মের ভেদাভেদ তত দিন আছে, যত দিন মস্তিষ্কে ভেদাভেদ রয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement