করোনা টিকার ২টি ডোজ নেওয়ার পর মাস্ক ছাড়াই বাইরে বার হতে পারবেন আমেরিকানরা। ছবি রয়টার্স।
করোনা রুখতে মাস্ক পরা জরুরি বলে সতর্কবার্তার মাঝেই আমেরিকার বাসিন্দাদের পুরোপুরো উল্টো নির্দেশ দিলেন সে দেশের স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের নির্দেশ, করোনা টিকার ২টি ডোজ নেওয়ার পর মাস্ক ছাড়াই বাইরে বার হতে পারবেন আমেরিকানরা। তবে বড়সড় জমায়েতে অচেনা মানুষজনের ভিড়ে এই নির্দেশ বলবৎ হবে না। অন্য দিকে, টিকাকরণ হয়নি এমন ব্যক্তিরা কয়েকটি ক্ষেত্রে মাস্ক না পরেই বাইরে পা রাখতে পারবেন।
করোনার আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার রাতে সে দেশের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাঁরা ফাইজার বা মর্ডানার ২টি ডোজ অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের ১টি ডোজও নেননি, তাঁদের রেস্তরাঁ বা কোনও জমায়েতে এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে কনসার্ট বা খেলাধুলোর প্রতিযোগিতার মতো জমায়েতে সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। মূলত করোনাকালে আমেরিকার আম জনতার জীবনযাত্রা ফের স্বাভাবিক করতেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সিডিসি-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁদের একাংশ। বার্মিংহামের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞ মাইক স্যাগ যেমন বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ফের আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করতে পারব। পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বটে। তবে সে দিকে এগনোর একটা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।”
সিডিসি-র এই নির্দেশিকার পিছনে আরও একটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আমেরিকায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেক মানুষেরই করোনার অন্তত ১টি টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এক-তৃতীয়াংশের বেশি পুরোপুরি টিকাকরণ করা হয়েছে। এই আবহে সিডিসি-র এই নির্দেশিকার ফলে আরও মানুষ টিকা নিতে উৎসাহ বোধ করবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।