Anti-Hijab Protests

সেনার গুলিতে মৃত ছাত্রীর সমাধিতে যেতে বাধা পুলিশের, আবার আন্দোলন শুরু ইরানের বিভিন্ন শহরে

ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ১৮ নভেম্বর ইরানের সেনার গুলিতে নিহত হন হামিদরেজা। তাঁর মৃত্যুর চল্লিশ দিন পরে তাঁর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেহরান শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২৬
Share:

গত আড়াই মাস ধরে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত থেকেছে ইরান। ফাইল চিত্র।

আবার বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল ইরানের বিভিন্ন শহরে। ইরানের সেনার গুলিতে নিহত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হামিদরেজা রৌহির স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যাচ্ছিলেন সে দেশের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা। তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে স্থানীয় পুলিশ। তার পরই নতুন করে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ইরানের বিভিন্ন শহরে।

Advertisement

ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলির তরফে জানা গিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর ইরানের সেনার গুলিতে নিহত হন হামিদরেজা। তাঁর মৃত্যুর চল্লিশ দিন পরে তাঁর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন প্রতিবাদীরা। কিন্তু তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি মৃত তরুণীর বাবা-মাকেও মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়।

পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকদের সামনেই স্লোগান দিতে শুরু করেন প্রতিবাদীরা। তাঁরা বলেন, অকালেই ঝরে যাওয়া ফুল জন্মভূমির প্রতিই অর্পণ করা হচ্ছে। এই স্লোগানের মাধ্যমে অকালপ্রয়াত হামিদরেজার কথাই বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইরানের গোঁড়া ও রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতা আলি খামেনেইয়ের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তাঁরা। বিভিন্ন ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, স্বৈরাচারীর পতন চাই বলে স্লোগান দিচ্ছেন প্রতিবাদীরা। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।

Advertisement

গত আড়াই মাস ধরেই হিজাব-বিরোধী আইনে উত্তাল হয়েছে ইরান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের কুর্দ অঞ্চলের বাসিন্দা, ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনিকে আটক করে সে দেশের নীতি পুলিশ। মাহশার অপরাধ ছিল, তিনি ঠিক করে হিজাব পরেননি। পুলিশি হেফাজতেই রহস্যজনক ভাবে মাহশার মৃত্যু হয়। তার পরই তেহরান-সহ ইরানের বিভিন্ন শহর এবং শহরাঞ্চলে হিজাব খুলে, চুল কেটে রক্ষণশীল ইসলামিক শাসনের বিরুদ্ধে সরব হন সে দেশের মেয়েরা। এই প্রতিবাদের প্রথম সারিতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের অনেক শিল্পী, গায়ক, অভিনেতা এবং ছাত্র-যুব সমাজের বড় একটি অংশকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হামিদরেজাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement