হাড়হিম করা ঠান্ডা বোধ হয় একেই বলে। নজিরবিহীন বললেও খুব ভুল হবে না। হিমাঙ্কের চেয়ে ৬০ ডিগ্রি নীচে তাপমাত্রা বেশ কিছু জায়গায়। ভয়ঙ্কর শীতে সত্যিই কাঁপছে মার্কিন মুলুক। প্রবল ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে কানাডাও।
প্রবল ঠান্ডায় মিনেসোটায় প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি। বাড়ি ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে। মিনেসোটায় তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রির আশপাশে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হিমাঙ্কের চেয়ে ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। ১৮০০ সালের পর এ বছর এরকম ঠান্ডা পড়েছে মিনেসোটায়।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ম্যাডিসনে গত ৪০ বছরে এরকম শীত পড়েনি। ম্যাডিসনে হিমাঙ্কের চেয়ে ২৮ ডিগ্রি নীচে রয়েছে তাপমাত্রা।
উইসকনসিনের বাসিন্দারাও ঘর থেকে বেরোতেই পারছেন না। উইসকনসিনে তাপমাত্রা মাইনাস ৩২ ডিগ্রির আশপাশে। এ ছাড়াও ইন্ডিয়ানা, ওহায়ো, ইলিনয়েসেও একই রকম তাপমাত্রা রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ রয়েছে স্কুল।
মেরুবৃত্তের প্রায় আড়াই কোটি বাসিন্দা রয়েছেন হিমাঙ্কের চেয়ে ২০ ডিগ্রি নীচে। ওয়াশিংটনে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ৪ ডিগ্রি নীচে। মরণ ঠান্ডা বলেও একে উল্লেখ করেছেন এক আবহাওয়াবিদ।
শিকাগোতে তাপমাত্রা মাইনাস ২৩ ডিগ্রি, ডেট্রয়েটে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ২৮ ডিগ্রি নীচে।
নিউ ইয়র্ক গড় তাপমাত্রা শূ্ন্য ডিগ্রি।
নায়াগ্রা, ওরলিয়ান্স কাউন্টি ও বাফালো, টরন্টোতে তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ১৪ ডিগ্রি। বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে এই সব এলাকায়।
গ্রান্ডফর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত রয়েছে তুষারপাত ও কুয়াশার কারণে। এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৮ ডিগ্রির আশেপাশে।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মিডওয়েস্ট-নিউ ইংল্যান্ডে বেশ কিছু মানুষ গৃহবন্দি। ৯ কোটিরও বেশি মানুষ রয়েছেন শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রারও নীচে। প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মার্কিন মুলুকের সর্বত্র।
মার্কিন আবহাওয়াবিদদের অনেকেই বলেছেন, এ জাতীয় তাপমাত্রার মূল কারণ, একটানা ঠান্ডা হাওয়া ও তুষারঝড়। এ ছাড়াও মেরুবৃত্তের আশপাশের প্রতিটি এলাকাতেই তাপমাত্রা নামছে ক্রমশ।