France Riot

হিংসা, বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে ফ্রান্স, ১৩০০-এর বেশি বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার

মঙ্গলবার ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে ১৭ বছরের তরুণকে লক্ষ করে গুলি চালায় ফ্রান্স পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণের। তার পর থেকেই হিংসা এবং বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে ফ্রান্স।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

প্যারিস শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৪
Share:

ফ্রান্সের হিংসার ঘটনার পঞ্চম রাত। ছবি: রয়টার্স।

মঙ্গলবার প্যারিসে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে এক ১৭ বছর বয়সি তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। তার পর থেকেই ফ্রান্সের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন তরুণ প্রজন্ম। শনিবার এই হিংসার ঘটনা পা রেখেছে পঞ্চম দিনে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারি সূত্রে খবর, ১৩১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

প্যারিসের পরিস্থিতি লক্ষ করে জার্মান সফরে যাওয়ার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ। জার্মান সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে মাকরঁ তাদের প্যারিসের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। সফরের দিন পিছিয়ে যাওয়ায় দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের রাস্তায় মাকরঁ সরকারের তরফে নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিসেই পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িও নামানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সরকারি সূত্রের খবর, বহু দোকান, ইমারত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লুট করা হয়েছে বন্দুকের দোকানও। ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজার গাড়ি। এ ছাড়াও প্রায় চার হাজার জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মার্সেই শহরের বৃহত্তম গ্রন্থাগারও। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সেই গ্রন্থাগারের বেশির ভাগ বই। ঘটনাটির ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যারিসে ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ পুলিশ আধিকারিক। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ প্রজন্ম বলে জানিয়েছে মাকরঁ সরকার। সে কারণেই নিজের সন্তানদের হিংসা থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement